নিজস্ব প্রতিবেদক:: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমানকে সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান। গত মঙ্গলবার (১৭ই এপ্রিল) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক যুগান্তরের তাহিরপুর স্টাফ রিপোর্টার হাবিব সরোয়ার আজাদকে অপহরণ করে নিয়ে যান স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগ আহ্বায়ক মাসুক মিয়া ও তাঁর লোকজন। তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর শেষে ৩৪৫ পিস ইয়াবা দিয়ে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেন। অপহরণের সময় সাংবাদিকের পরিবার ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমানকে ফোন করলেও তিনি তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেননি। পুলিশ সুপার ও সুনামগঞ্জের সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে পরদিন রাতে আজাদকে যাঁরা ধরিয়ে দিয়েছিলেন সেই মাসুক মিয়াসহ কয়েকজনের জামিনে বিভিন্ন শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়। পুলিশের গাফিলতির কারণে সাংবাদিককে চরম নির্যাতন ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে বলে মনে করেন সাংবাদিকরা।
এ ঘটনায় সুনামগঞ্জের সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ হলে পুলিশ সুপার মো. বরকত উল্লাহ খান মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর কার্যালয়ে জরুরি মতবিনিময়সভার আয়োজন করেন। মতবিনিময়সভায় সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও দৈনিক সংবাদের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি লতিফুর রহমান রাজু এ ঘটনায় সাইদুর রহমানের গাফিলতি ও অপরাধীদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ আনেন। তাঁকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান ফাঁড়ির ইনচার্জকে প্রত্যাহার এবং দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। একই সঙ্গে এভাবে সুনামগঞ্জে যাতে কোনো সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানি না হয় সে জন্য তিনি সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন।
এদিকে, সাংবাদিক হাবিব সরোয়ার আজাদকে অপহরণ, নির্যাতন এবং মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টায় জড়িত রয়েছেন বলেও ওই ফাঁড়ির এএসআই পিযুষের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ ওঠেছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস https://ift.tt/2qJskdr
April 19, 2018 at 06:19PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন