বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম ও গিয়াস উদ্দিন নামের এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দ্বীপবন্দ গ্রামবাসী।
আজ মঙ্গলবার (২৪শে এপ্রিল) দুপুরে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে আইনজীবী গিয়াস উদ্দিনের সনদ বাতিল ও থানার ওসি শামসুদ্দোহার প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। উপস্থিত ৩৮ জন গ্রামবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই গ্রামের প্রয়াত আব্দুস শহীদের ছেলে সুহেল আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও তিন গ্রামের পঞ্চায়েত মিলে দ্বীপবন্দ গ্রামের গরিব মনোহর আলী মনাই ও প্রতিপক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে একাধিক বৈঠক করা হয়। কিন্তু থানার ওসি ও গ্রামের গিয়াস উদ্দিন নামের আইনজীবী তাদের ফায়দা হাসিলের জন্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি হতে দিচ্ছেন না। তারা বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে চুক্তি করে আব্দুল কাদির পক্ষের ৬ আসামিকে জামিনে মুক্ত করান। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ওই বখাটেরাই দ্বীপবন্দ গ্রামের মনাইর ছেলে জুয়েলের ডান হাতের ৩টি আঙ্গুল কেটে ফেলার পর থানায় মামলা দিলে পুলিশ মামলা নিতে নানা টালবাহানা করে। টাকা ছাড়া মামলা নিলে আদালতে অভিযোগ দিলে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়, (বিশ্বনাথ জিআর ৪৯/১৮ইং)।
এর আগে ২০১৭ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর পাশের বাড়ির আব্দুল কাদির ও সেবুল মিয়া পক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন মনাইর ছেলে রুহেল আহমদ (২৮) জুয়েল আহমদ (২৫), মেয়ে সুমিনা বেগম (১৮) ও লুবনা বেগম (১৬)। ঘটনার পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আহতদের পক্ষে থানার ওসি মামলা নিলেও (মামলা নং ১৩ তারিখ ২০/০৯/১৭ইং) বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে এক মাস পর ২৫ অক্টোবর আব্দুল কাদিরের দেওয়া পাল্টা আরেকটি মামলা রেকর্ড করা হয় (মামলা নং ১৫ তারিখ ২৫/১০/১৭ইং)। এ ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ ৮ মাস ধরে পুলিশ ও প্রতিপক্ষের ভয়ে বাড়ি ছাড়া রয়েছেন আহত রুহেল আহমদ (২৮), জুয়েল আহমদ (২৫), মেয়ে সুমিনা বেগম (১৮) ও লুবনা বেগম (১৬)।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, দ্বীপবন্দ গ্রামের ভারতীয় নাসির বিড়ির চোরাচালানী আব্দুর রহমানের ছেলে তৎকালীন ছাত্রদল ক্যাডার গিয়াস উদ্দিন ৮ম শ্রেণি পাশ করার পর অর্থাভাবে পড়ালেখা বন্ধ করতে চাইলে গ্রামের একজন তাকে এসএসসি পর্যন্ত নিজের টাকায় লেখাপড়া করিয়ে সিলেটে কলেজে ভর্তি করে দেন। কিন্তু সে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে চুরি, ছিনতাই ও অস্ত্রবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। সহায়তাকারী ব্যক্তি তার মা-বাবাকে দিয়ে খারাপ পথ থেকে ফিরাতে শাসন করালে গিয়াস উদ্দিন বিএনপির এক নেতার সাথে হাত মিলিয়ে গ্রামে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করে। চুরিসহ দুটি মামলায় তার জেল জরিমানা হয় (মামলা নং-সিআর ২/০২ইং জিআর ১৫৩)। ২০০২ সালের ৩রা নভেম্বর বিশ্বনাথে মেজরের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অস্ত্রবাজ গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে চাইলে সে কোন রকম পালিয়ে যায়। এ সময় তার বিরুদ্ধে জাতীয় ও স্থানীয় একাধিক দৈনিকে অনেক খবর প্রকাশিত হয়। কিছু দিন আগে গ্রামে একটি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে ছেলেটির মা-বাবা তার কথামত টাকা না দেয়ায় ছেলেটিকে কৌশলে হাজির করে জেল হাজতে পাঠায়। তারপর জামিনের কথা বলে ছেলেটির মা-বাবার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়
from Sylhet News | সুরমা টাইমস https://ift.tt/2qXip3R
April 24, 2018 at 07:27PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.