১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালে চ্যাম্পিয়ন হবার পর বিশ্বকাপের তৎকালীন ট্রফিটি চিরতরে পেয়ে যায় ব্রাজিল। তাই পরের বার ট্রফি বদলের সিদ্ধান্ত নেয় সেলেকাওরা। সাতটি দেশ থেকে মোট ৫৩ রকমের ডিজাইন এসে জমা পড়ে। তবে সবাইকে পেছনে ফেলে মন জয় করে নেন সিলভিও গাজ্জানিগা। ইতালির এই ভাস্করের দেয়া ডিজাইনটি চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হয়। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের আর বাকি মাত্র ৭৪ দিন। ১৯৭৪ সাল থেকে নতুন ট্রফিটি দিয়ে চলছে যাত্রা। প্রথমবার এই ট্রফি জিতে পশ্চিম জার্মানি। এবারের আসরেও সোনালী এই ট্রফিটিই দেয়া হবে বিশ্বসেরাদের। প্রাথমিকভাবে পুরোটা স্বর্ণ দিয়ে তৈরির পরিকল্পনা করেছিল আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা (ফিফা)। কিন্তু নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রির অধ্যাপক মার্টিন পোলিয়াকফ নতুন তথ্য দেন। তিনি জানান, এতো স্বর্ণ দিলে এর ওজন হবে প্রায় ৭০ কেজি। এতো ভারি ট্রফি তুলতে তো ফুটবলার নয়, লাগবে ভারোত্তোলক! তাই ট্রফির উপরের গোল অংশটি ফাঁপা করে বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। বর্তমানে এই ট্রফির উচ্চতা ৩৬.৮ সেন্টিমিটার, ওজন ৬.১৭৫ কেজি। ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দিয়ে তৈরি এটি। আরও পড়ুন: ইরানকে ৮-১ গোলে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা বিশ্বকাপের ট্রফির আদলটা একসময় বর্তমান রূপে ছিল না। আগে এর নাম ছিল ভিক্টোরি বা কোউপ ডু মোন্ড। ১৯৪৬ সালে ফিফার সাবেক সভাপতি জুলে রিমের স্মরণে এর নাম হয়ে যায় জুলে রিমে ট্রফি। ১৯৩৮ সালে বিশ্বযুদ্ধের সময় ট্রফিটা ছিল তৎকালীর বিজয়ী দল ইতালির কাছে। নাত্সী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষার জন্য ফিফার সহ-সভাপতি অট্টোরিনো বারাসিস এটি ব্যাংক থেকে তুলে রোমে নিয়ে যান। সেযাত্রায় বেচে যায় ট্রফিটি। বারাসিস লুকিয়ে রাখেন একটি জুতার বাক্সে। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের মাত্র চার মাস আগে লন্ডনে এক উন্মুক্ত প্রদর্শনী অনুষ্ঠান থেকে চুরি হয়ে যায় ট্রফিটি। সপ্তাহ খানেক পর সংবাদপত্রে মোড়ানো লন্ডনের নরউড অঞ্চলের সাবারবেন বাগান থেকে এটি উদ্ধার করা হয়। তা খুঁজে পায় পিকেলস নামের একটি কুকুর। তার জন্য কুকুরের মালিক ডেভিড করবার্টকে ছয় হাজার পাউন্ডও পুরস্কৃত করা হয়। অন্যদিকে ট্রফিটির বিনিময়ে ১৫ হাজার পাউন্ড দাবি করা চোরকে দেয়া হয় দুই বছরের কারাদণ্ড। ১৯৮৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর আবারও চুরি হয় কাপটি। রিও শহরে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সদর দপ্তর থেকে চুরি হবার পর আর কেনো হদিস মিলেনি ট্রফিটির। আগের ট্রফি হারিয়ে যাবার অভিজ্ঞতা থেকেই অনেক বেশি সতর্ক ফিফা। শিরোপা হস্তান্তরের সময়ই বিজয়ী দল উৎসবের জন্যই সত্যিকারের ট্রফিটি হাতে নিয়ে চুমু খেতে পারে। তবে নিজেদের ঘরে ফেরার সময় দেয়া হয় রেপ্লিকা বিশ্বকাপ ট্রফি। সূত্র: আরটিভি অনলাইন আর/১০:১৪/০১ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2H3011e
April 02, 2018 at 05:25AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন