ইস্তাম্বুল, ১৯ এপ্রিল- পয়লা বৈশাখ বাংলাদেশের সংস্কৃতির এমন এক উৎসব যা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এক অবিস্মরণীয় মেলবন্ধনে আবদ্ধ করেছে। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট আয়োজিত বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে এভাবেই পয়লা বৈশাখের তাৎপর্য বর্ণনা করেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম। ১৪ এপ্রিল শনিবার ইস্তাম্বুলের কিরাজলিতেপে বোয়াযিচি ইয়াসাম সেন্টারে অনুষ্ঠিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশকে হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের লীলাভূমি হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের বর্ণনা করে বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যেকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণে জোর দেন। ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, পয়লা বৈশাখ বাঙালি জাতিকে একটি সহিষ্ণু, ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রগতিশীল জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে যুগ যুগ ধরে অনুঘটকের কাজ করে আসছে। আগত অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ ধরনের সাংস্কৃতিক মিথস্ক্রিয়া বাংলাদেশ ও তুরস্কের জনগণের পারস্পরিক বন্ধুত্বকে আরও সুদৃঢ় করবে। অনুষ্ঠানে তুরস্কের পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য ফাতেমা বেনলি, ইস্তাম্বুল প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর ইসমাইল গুলতেকিন, উস্কুদার জেলার গভর্নর মুরাত শেফা ডেমিরইউরেক, স্থানীয় ব্যবসায়ী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও ইস্তাম্বুলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। ফাতেমা বেনলি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের জনগণকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, একটি জাতির কৃষ্টি ও ঐতিহ্য কতটুকু সমৃদ্ধ তা সে জাতির সংস্কৃতি থেকে বোঝা যায়। বাংলা নববর্ষের এই আয়োজন থেকে সহজেই বাংলার সভ্যতা ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধ পরিচয় মেলে। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ইসমাইল গুলতেকিন ও মুরাত শেফা ডেমিরইউরেক বক্তব্য দেন। তারা এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মাঝে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন আরও শক্তিশালী ও গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আরও পড়ুন: জার্মানি থেকে ফিরতে হচ্ছে ১,০০০ বাংলাদেশিকে পরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, উস্কুদার তৃতীয় সেলিম প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাক্কি ডেমির ইমাম হাতিপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। তথ্যসূত্র: প্রথম আলো এআর/১৭:৪৫/১৯ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2HfjkaX
April 19, 2018 at 11:45PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন