লস এঞ্জেলেস, ০৬ এপ্রিল- যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত হল বাংলাদেশ ডে প্যারেড। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দুদিনব্যাপী বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানমালায় দলমত-নির্বিশেষে প্রবাসীরা অংশ নেন। পারস্পরিক সম্প্রীতির বন্ধনের এ কর্মসূচিতে মূলধারার শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও অংশ নেন। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস এঞ্জেলেস সিটিতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত একটি এলাকার নামকরণ লিটল বাংলাদেশ হয়েছে। সেখান থেকেই বর্ণাঢ্য এ প্যারেড অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১২ বছর যাবত। সর্বস্তরের বাঙালিদের সমন্বয়ে এই কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ ইউনিটি ফেডারেশন অব লস এঞ্জেলেস (বাফলা)। ৩১ মার্চ প্রথম দিন ছিল প্যারেড। লিটল বাংলাদেশের থার্ড স্ট্রিট এবং নরমেন্ডী এভিনিউ থেকে শুরু করে ভারমন্ট হয়ে ভার্জিল মিডল স্কুলের মাঝে গিয়ে শেষ হয় প্যারেড। বেভারলি বুলেবার্ড পর্যন্ত সমগ্র রাস্তা বন্ধ থাকে এ সময়। বাংলাদেশ ডে প্যারেডে গ্র্যান্ড মার্শাল ছিলেন স্থানীয় কংগ্রেসম্যান জিমি গোমেজ। প্রধান অতিথি ছিলেন ডা. কালী প্রদীপ চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি লস এঞ্জেলেসের কন্সাল জেনারেল প্রিয়তোষ সাহা। বাংলাদেশ ও আমেরিকার বৃহত্তর পতাকা শোভিত ঘোড়ার গাড়ি, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, স্ট্যাচু অব লিবার্টি এবং পদ্ম ফুলের আদলে দৃষ্টিনন্দন ফ্লট নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন এ প্যারেডে অংশ নেয়। রাস্তার দুই পাশে প্যারেড দেখার জন্য অসংখ্য মানুষের ভিড় জমে যায়। আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসম্যান জিমি গোমেজ আমেরিকার পতাকা উত্তোলন করেন। কন্সাল জেনারেল প্রিয়তোষ সাহা উত্তোলন করেন বাংলাদেশের পতাকা। এরপর শুরু হয় বাংলাদেশ ডে ফেস্টিভালের সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ফেস্টিবাল ঘিরে ছিল হরেক রকমের স্টলের সমারোহ। দেশীয় পণ্য ও খাবারে আকর্ষণীয় স্টলগুলো জমিয়ে রাখে আগত দর্শক ও শ্রোতাদের। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের সাথে সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় বাউল শিল্পী শাহ মাহবুব। ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দিনে অগণিত মানুষের ঢল নামে বাংলাদেশ ডে ফেস্টিভালে। রকমারি পণ্যের দোকান এবং খাবারের স্টল উপচে পড়ে মানুষের ভীড়ে। পাশাপাশি চলতে থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত হন এই সিটির প্রাক্তন মেয়র এ্যান্তোনিও ভিলারাইগোছা। সমাপনী রাতের মধ্যমণি ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত জিনাত আরা মুন্নি ও শুভ্র দেব। গানে গানে তারা পুরো সমাবেশকে ভিন্ন এক আমেজে মাতিয়ে রাখেন। এ প্যারেড উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বাফলার সর্বোচ্চ পদক দেয়া হয় সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ডা: আবুল হাসেম। পদক তুলে দেন লস এঞ্জেলেসের প্রাক্তন মেয়র এবং বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার গর্ভণর পদপ্রার্থী ও লিটল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর এ্যান্তোনিও ভিলারাইগোছা। সূত্র: এনআরবি নিউজ আর/১০:১৪/০৬ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2GFDIOg
April 07, 2018 at 05:54AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top