সিলেট চিকনাগুল খাঁন চা-বাগানের প্রঞ্চায়েত কমিটি ও চা শ্রমিকরা উদ্যেগে ২৩০ টাকা মজুরির দাবিতে ও ১৪ মাস পূর্বে ৮৫ টাকা থেকে ১’শ টাকা বৃদ্ধি হলেও তাদের টাকা না পাওয়ায় বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ অনির্দিষ্টকালের কর্ম বিরতি ঘোষণা দেন চা শ্রমিকরা।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকার যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, একটি স্বার্থনেসি মহল তাহার বিরোধিতা করে চলছে। ইহা অতান্ত দূঃখ জনক, চা শ্রমিকরা প্রতি নিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশের বিনিয়োগ ব্যবস্থাকে সচ্ছল রাকার প্রচেষ্ঠায় রয়েছে। কিন্তু একটি চা-শ্রমিকের মজুরী মাত্র ৮৫ টাকা, এ টাকা দিয়ে তার সংসার পরিজন নিয়ে দূর্বিসহ জীবন যাপন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সফল শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যগবান করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু চা জনগোষ্টির শিশু কিশোরদের প্রতি সু-নজর না থাকায় নি¤œ আয়ের শিশুদের শিক্ষিত করে তোলা অসম্ভব হয়ে দাড়াচ্ছে। চা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি দাওয়া আদায়ের লক্ষে প্রশাসণের নজর দারি হস্থকেপ কামনা করছেন। এছাড়াও ১৪ মাস ধরে মালিকপক্ষ চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিকদের মজুরি দিতে গড়িমসি করছে। সভায় শ্রমিকদের বেতন ২৩০ টাকায় উন্নীতকরণ করার দাবি জানানো হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় চিকনাগুল খাঁন চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি বিনেশ বাড়াইক সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রতিলাল বাড়াইকের পরিচালনায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং-বি ৭৭ সিলেট ভ্যালির কার্যকরী সভাপতি রাজু গোয়ালা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক কৃপেশ বুনার্জী, চিকনাগুল খাঁন চা-বাগানের প্রঞ্চায়েত কমিটির সাবেক সভাপতি যসোধন বাড়াইক, চিকনাগুল খাঁন চা-বাগান প্রঞ্চায়েত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক দেবু বাউরী, অর্থ সম্পাদক নিখিল কুমার দাস, সদস্য পবন বাড়াইক, শীলা কর্মকার, উষা বুনার্জী, ইদনী বেগম, পূর্ণবালা মুন্ডা,ও বাগানের বিশিষ্ট মুরবী চরণ বাড়াইক, সিলিপ কর্মকার, বাচ্চু বাড়াইক প্রমুখ।—বিজ্ঞপ্তি।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস https://ift.tt/2HuPyzd
April 26, 2018 at 10:36PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন