মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ থেকে ::সিলেটের বিশ্বনাথে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিনকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ গ্রেফতারকৃত সুমন আহমদকে নিয়ে অভিযানে চালায়। আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটায় গ্রেফতারকৃত সুমনের তথ্যের ভিত্তিত্বে উপজেলার কেশবপুর গ্রামের সুরমা নদীর পশ্চিম পাড়ে আতাপুর ডর নামক স্থানে অভিযান চালায়। তবে এখানে প্রায় ঘন্টাখানিক অভিযান চালিয়ে পাওয়া যায়নি হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু। গ্রেফতারকৃত আসামির কথামতো ছাতক থানার গবিন্দগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু সেখানে পাওয়া যায়নি সেই চাকু। পরে গ্রেফতারকৃত সুমন আহমদ ছাতক থানা এলাকায় সে যে হোটেলে চাকুরী করতে সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিছু পায়নি। বিকেলে পৌনে ৬টায় সুমন আহমদকে সাথে তার নিজ বসত ঘর উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামে অভিযানে নামে পুলিশ। সেখান হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু পাওয়া না গেলেও হত্যাকান্ডের পূর্বে নিহত তাজ উদ্দিনের সঙ্গে সুমন আহমদ যে মোবাইল ফোন দিয়ে আলাপ করেছিল সেই মোবাইলটি ভাঙা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযান সমাপ্ত করে থানা ফিরে আসার পথে পুলিশ এমটাই জানাগেছে।
এদিকে, তাজ উদ্দিন হত্যাকারী সুমনকে নিয়ে লামাকাজি এলাকায় পুলিশ অভিযানকালে এলাকার শতশত মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এসময় গ্রেফতারকৃত সুমনকে একনজর দেখার জন্য উৎসুক জনতা ভীড় জমান। হত্যাকারীকে গ্রেফতার করায় এলাকার অনেকেই পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধারের জন্য গ্রেফতারকৃত সুমন আহমদকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকুটি পাওয়া যায়নি। তবে একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বনাথে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন হত্যার ২৩দিন পর হত্যাকারী সুমন আহমদ (২৩) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের জহুর আলীর ছেলে। আজ শুক্রবার ভোর বেলায় বিশ্বনাথ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে লামাকাজি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সুমন আহমদ পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিনকে হত্যা দায় স্বীকার করেছে।
সিলেট সদর উপজেলার ফহেতপুর গ্রামের মৃত আলা উদ্দিনের ছেলে তাজ উদ্দিন (৩০) বিশ্বনাথ থানাধীন এলাকার মাহতাবপুর মৎস্য আড়তের একজন ক্ষুদ্র পান দোকানদার ছিল। প্রতিদিনের মতো গত ১৩মার্চ দুপুরে মৎস্য আড়ৎ বাজারে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যান। পরদিন ১৪ মার্চ সকাল ১১টায় বিশ্বনাথের কেশবপুর গ্রামের সুরমা নদীর পশ্চিম পাড়ে আতাপুর ডর নামক স্থানে নীচু জায়গায় পানির পাশে শুকনাতে ক্ষতবিক্ষত পেট কাটা অবস্থায় তাজ উদ্দিনের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। গত ১৬ মার্চ অজ্ঞাতনামা আসামি রেখে বিশ্বনাথ থানায় তাজ উদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2GJLpD7
April 06, 2018 at 06:51PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন