ঢাকা, ২৯ এপ্রিল- দুপুর সাড়ে ১২টা। মিরপুরের বিসিবি চত্বরে তখন বৈশাখের কড়া রোদে কাঠ ফাটার দশা। পাঞ্জাবি পরা এক সুদর্শন তরুণের দিকে সবার নজর। ভালো করে পরখ করতেই সবাই বুঝে ফেলেন, তিনি মাশরাফি বিন মুর্তজার ভাষ্যে হিরো, তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের বোলিং সেনসেশন। ঢুকলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ভবনের দোতলায়। ঘণ্টাখানেক পর বেরিয়ে সোজা হাঁটা দিলেন ক্রিকেট একাডেমির দিকে। সেখানে একাডেমির লবিতে গিয়েই বসলেন আরেক সুদর্শিনীর সঙ্গে। আ রে, এ যে নাঈমা! তাসকিনের জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস চলছে যার সঙ্গে, গেল বছরের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর তাসকিন যার দুহাত নিজের করে নিয়েছিলেন, তার স্ত্রী সৈয়দা রাবেয়া নাঈমা। মুখোমুখি হতেই দুজনের মুখে মিষ্টি হাসি। কুশল বিনিময় আর খোশগল্পে জমে উঠলো ভর দুপুরের আড্ডা। এ কথা সে কথার ফাঁকে দুজনের জীবনের যৌথ ইনিংস নিয়েও গল্প হলো। এদিক থেকেই প্রশ্ন যায় নাঈমার কাছে, একজন সুপারস্টারকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেলেন, অনুভূতি কেমন? উচ্ছ্বসিত হাসিতে উত্তর, ভালো। নাঈমার মুখ থেকে কথা কেড়ে নেন তাসকিন, ও তো আমাকে সুপারস্টার হিসেবে দেখে না! ওর কাছে আমার বেইল নাই। দুজনে খিলখিলিয়ে হেসে ওঠেন। প্রশ্ন-পাল্টা প্রশ্নে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন দুজনে। জীবন নিয়ে কোনো পরিকল্পনা? এই প্রশ্নে নাঈমার উত্তর, কী প্ল্যান করবো? আমার এখনও কোনও প্ল্যান নেই। হেসে হেসে তাসকিনই সম্পূরক প্রশ্ন করেন, কী কয়? বিয়ে করে ফেলেছি, এখনও বলো প্ল্যান নেই! হাসতে থাকেন দুজনে। গল্পে গল্পেই দুজনেই বললেন, পরস্পরের হাসিই দুজনের কাছে খুব প্রিয়। এই জোড়া হাসি নিশ্চয় তাসকিন-নাঈমার পরিবারের কাছেও খুব প্রিয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছেও হয়তো। কারণ, ক্রিকেটের মাঠে তাসকিনরা হাসলেই যে হাসে লাল-সবুজের বাংলাদেশ! সূত্র: বাংলানিউজ আর/০৭:১৪/২৯ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2JxDU2U
April 29, 2018 at 02:39PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন