জমি সংক্রান্ত বিরোধেই খুন হন আকল মিয়া


চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি::     হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ব্যবসায়ী নেতা আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ক্ষমতা আর জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণেই খুন হতে হয়েছে এ ব্যবসায়ী নেতাকে। ইতোমধ্যে হত্যাকান্ডে অনেক রাঘব-বোয়ালের সস্পৃক্ততা মিলেছে। ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেল কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাটিয়েছে ডিবি পুলিশ। তার পর থেকে অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে যাদের সম্পৃক্ততা মিলবে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা। গতকাল রোববার (০১লা এপ্রিল) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কিলিং মিশনে ছিল পাঁচজন। তারাই মূল কিলার। সাইফুল ইসলাম রুবেলের ভাড়া নেয়া অফিসে বসেই একমাস পূর্বে হত্যার পরিকল্পনা করে। কারা অর্থ দেবে, কিলিংয়ে অংশ নেবে, কিলার ভাড়া করবে সব সিদ্ধান্তই এখানে হয়। ইতোমধ্যে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীদের একজন জসিম উদ্দিন চৌধুরী শামীম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার স্বীকারোক্তির সূত্র ধরে তদন্তও অনেক এগিয়ে গেছে। বেরিয়ে এসেছে মামলার ক্লু ও মোটিভ। রোববার বিকেলে সাইফুল ইসলাম রুবেলকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ। পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা বলেন, এ ঘটনায় কোনো রাঘব-বোয়াল বা ক্ষমতাশালী কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না। অবশ্যই তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। পুলিশ ও স্থানীয়দের দেয়া তথ্যমতে, ব্যবসায়ী নেতা আবুল হোসেন জমি ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা করতেন। কম দামে জমি ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করতেন। ইতোপূর্বে তিনি একটি জায়গা ক্রয় করেন। ওই জায়গা নিয়ে মামলার আসামি জসিম উদ্দিন চৌধুরী শামীমের সঙ্গে তার খালা, মামাদের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে ৫/৬ মাস পূর্বে শামীমের ভাই শিহাব তার খালাকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় মামলা হলে শিহাব ১৭ দিন কারাভোগ করে। বাদীপক্ষে অবস্থান নেয়ায় ব্যবসায়ী নেতা আকল মিয়ার সঙ্গে তাদের বিরোধ দেখা দেয়। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত সাইফুল ইসলাম রুবেলসহ একটি প্রভাবশালী মহল শামীমের পক্ষে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে তা আধিপত্যের দ্বন্ধে জড়ায়। এর জের ধরেই আকল মিয়া হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় বলে তিনি জানান। ৩০ মার্চ জসিম উদ্দিন চৌধুরী শামীমকে ঢাকার তেজকুনি পাড়ার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৩১শে মার্চ তিনি আদালতে ১৬৪ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপরই গত শনিবার রাতে সাইফুল ইসলাম রুবেলকে চুনারুঘাট বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল রোববার দুপুরে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ১লা মার্চ ভোরে আকল মিয়া মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে চুনারুঘাট শহরের বাল্লা রেলগেট এলাকার বাসা থেকে বের হন ।কিন্তু মসজিদে যাবার পূর্বেই নামাজ পূর্বথেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তদের হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে কিছুক্ষন পর সেখানেই তার মৃত্যু হয়।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস https://ift.tt/2uGhg69

April 01, 2018 at 11:37PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top