মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ থেকে :: সিলেটের বিশ্বনাথে স্থানীয় জাতের বোরো খইটাই ধান কাটা শুরু হয়েছে। হাইব্রিড, টেপি, উপশী জাতীয় উচ্চ ফলনশীল ধান কাটা শুরু হতে আরো ১০দিন সময় লাগবে বলে উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে। বিশ্বনাথে চলতি মৌসুমে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। হাওর ও মাঠে এখন চলছে সবুজের সমারোহ। কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ মৌসুমের ফসল ঘরে উঠলেই কৃষকদের মুখে হাসি ফুটবে। বার-বার ফসল হারিয়ে কৃষকরা হয়েছিলেন নিঃস্ব। এখানে বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারলেই কৃষকদের দুঃখ অনেকটা লাঘব হবে।
উপজেলা জুড়ে বোরো ধানের বাম্পার ফসলে আবারো বাধ-ভাঙ্গা আনন্দ-উল্লাস মেতে উঠেছে কৃষক-কৃষাণীরা। দিগন্ত জুড়ো সোনালী ফসলের মনোরম দৃশ্য এখন গোটা উপজেলা জুড়ে। সপ্তাহ-খানিক পর ফসল কাটার মহোৎসবে ব্যস্ততম সময় কাটাবেন একানকার কৃষকরা। উপজেলার গ্রামে-গ্রামে ও মাঠের পর মাঠ সোনালী ফসল ঘরে তোলার চলবে মহা-উৎসব। বোরো ধানের বাম্পার ফলনের কারনে গত বোরো মৌসুমে ফসল হারানো কৃষকরা বেদনা ক্ষণিকের জন্য হলেও ভুলে থাকতে পাড়বে বলে অনেকেই মনে করেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো চাষাবাদ হয়েছে ১৩হাজার ৭৯৮ হেক্টর। এর মধ্যে উপশী জাতীয় ধান চাষ করা হয়েছে ১৩হাজার ৭৬৮হেক্টর জমিতে। হাইব্রিড চাষ করা হয়েছে ৮৮০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের টেপু, গর্চি, গাছমাল ১৫০ হেক্টর। উপজেলার হাওরগুলোতে ধান কাটা শুরু হতে আরো ১০-১২দিন সময় লাগবে। উপজেলার বিভিন্ন হাওরের নিচু এলাকায় স্থানীয় জাতের বোরো ধান কিছু-কিছু কাটা শুরু হয়েছে।
উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী বলেন, আগামী বছরের চেয়ে এ বছর ভাল ফলন হয়েছে। ইউনিয়নে ধান কাটা শুরু হয়েছে।
বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলীনূর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে বোরোর ফলন ভাল হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে কৃষকদের। এক বিঘা জমি চাষাবাদের জন্য কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় উপজেলার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কৃষককে বীজ, সার ও নগদ ১হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2EuG5kS
April 07, 2018 at 05:29PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন