চলতি আইপিএলের নিলামে অবহেলার শিকার হন ক্রিস গেইল। প্রথম দুই দিনের নিলামে কোন দল আগ্রহ দেখায়নি তাকে। শেষ মুহূর্তে বীরেন্দ্রর সেহবাগের কারণে গেইলকে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের দলে নেন প্রীতি জিনতা। অবহেলা অবজ্ঞাকে পেছনে ফেলে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন গেইল। প্রথম তিন ম্যাচে দুই ফিফটি ও এক সেঞ্চুরি করে বুঝিয়ে দিলেন নিজের কদর কতোটা। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাত্কারে ক্রিস গেইল বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তিন ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটি। এখন কী মনে হয় সেই অবহেলার-অবজ্ঞার ভুল প্রমাণ করতে পেরেছেন? ক্রিস গেইল: আমার নিজের প্রমাণ করার কিছু নেই। আমার রেকর্ড আমার হয়ে কথা বলে। যদিও আমি আইপিএলের নিলামে একেবারে শেষ সময়ে বিক্রি হয়েছি; কিন্তু আমি এ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। আইপিএলের বাইরে, ক্রিকেটের বাইরেও জীবন আছে। একটা সময়েতো আমাকে সব ধরনের ক্রিকেট ছেড়েই দিতে হবে। যে কারণে আমি কখনোই এসব নিয়ে চিন্তিত না। আমি সবসময় বর্তমান নিয়ে থাকাটা পছন্দ করি। তবে আমাকে শেষ পর্যন্ত দল পাওয়ায় এবং নতুন একটা ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে পারায় খুব ভালো লাগছে। আর পারফরম্যান্সের যে কথা বলছে প্রথম তিন ম্যাচ যেভাবে খেলেছি, তা অসাধারণ ছিলো। তাতে আমি খুব খুশি। নিলামে অবহেলার শিকার হওয়ার কারণে কী আপনার এমন পারফরম্যান্সের পেছনে ভূমিকা রেখেছে? ক্রিস গেইল: না, সেরকম বিশেষ কিছু নয়। তবে সত্যি বললে এটা মানতে হবে যে, প্রথমে আমাকে কোনো দল না নেওয়ায় আমি অবাক হয়েছিলাম। আমি জানি না, দরজার পেছনে কী ঘটেছে। তবে এটা বুঝি যে, এরকম ঘটে থাকে। ঠিক আছে। আমি শেষ পর্যন্ত ঘটনাটা পেছনে ফেলে আসতে পেরেছি। যেমনটা বলেছি, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলতে পারাটা একটা দারুণ সুযোগ আমার জন্য। আর এখন পর্যন্ত ভালো সময় কাটাতে পারছি। সম্ভবত এটাই নিয়তি ছিলো কিং গেইল, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলবে! আপনিতো বিশ্বের অন্যতম তারকা, নিলামের শুরুতে দল না পেয়ে কী হতাশ হয়েছেন? ক্রিস গেইল: অন্যতম নই, আমিই সবচেয়ে বড় তারকা। অবশ্যই সেদিক থেকে হতাশার ব্যাপার ছিল। কারণ, ওরা আমাকে কল করেছিল। তারা চেয়েছিল (রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুরে), আমি দলে থাকি। আমাকে বলা হয়েছিল, আমাকে ধরে রাখা হবে; কিন্তু এরপর আর আমাকে কল করা হয়নি। ফলে তারা আমাকে এই ধারণা দিতে পেরেছে যে, তাদের আর আমাকে দরকার নেই। সেটা ঠিক আছে। আমি তো বলেছি, আমি এ নিয়ে কারো সাথে ঝগড়া করতে পারি না। আমার মনে হয়, আমি সিপিএল আর বিপিএলে ভালো খেলেছি। বিপিএলে আমি আমার দল রংপুর রাইডার্সের হয়ে দুটো সেঞ্চুরি করেছি। পরিসংখ্যান তো মিথ্যে বলে না। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ছক্কা আমার; তাতেও যদি ব্র্যান্ড গেইলে সিল মারা না হয়, কিসে হবে, কে জানে! সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বদলে কিভাবে মানিয়ে নিতে পারেন? ক্রিস গেইল: কারণ, আমি ইউনিভার্স বস! একটু সিরিয়াস হয়ে বলি, ২০১৫ সালে আমি যখন ইনজুরিতে পড়লাম এবং অস্ত্রপচার করিয়ে ফিরলাম, তখন আমি প্রথম এই প্রয়োজনীয়তাটা টের পেয়েছি। একটা পুরোনো নিয়ম আছে, সিরিয়াস ইনজুরির পর অ্যাপ্রোচটা বদলাতে হয়। ওই সময় আমাকে এতোটা সচেতন হতে হয়েছিলো যে, বুঝতে পেরেছিলাম, আগের মতো খেললে হবে না। ফলে আমি উইকেটে আরো সময় কাটাতে শুরু করলাম। আমি এখন নিজের অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগাতে পারি। ৩৮ বছর বয়সেও কিভাবে নিজেকে ফিট রাখেন? ক্রিস গেইল: নিজের শরীরটাকে যতটা সম্ভব সঠিক শেপে রাখা, নিয়মিত ড্রিলগুলো যতোদূর সম্ভব নিয়মিত করা। আমি প্রকৃতিদত্তভাবেই ফিট মানুষ। আমার ধারণা, ৩৮ বছর বয়সে আমার শরীর এখনো দারুণ শেপে আছে। যতোক্ষণ শরীর আর অভিজ্ঞতাটাকে সমন্বয় করতে পারবো, ততোক্ষণ চালিয়ে যাব। সূত্র: যুগান্তর এমএ/ ০১:২২/ ০১ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2jjm9tl
May 01, 2018 at 07:26PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন