চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি সীমান্ত এলাকায় চলছে হুন্ডির রমরমা ব্যবসা। অবৈধ হুন্ডির ব্যবসার কারণে একদিকে অসাধু ব্যবসায়ীরা অল্প সময়ে ‘আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ’ হচ্ছেন অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
অনুসন্ধানে জানা গেছে শিবগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় ২শ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনেকেই হুন্ডি ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে কোটি কোটি টাকার লেনদেন। সূত্র জানিয়েছে হুন্ডি ব্যবসায় ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সংকেত। এ সংকেতগুলির মাধ্যমে ভারতে সিন্ডিকেটের সাথে লেনদেন হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ওই সুত্র জানায় যারা টাকা অবৈধ পথে লেনদেন করে তাদের প্রায় অর্ধেকই গরু ব্যাবসায়ী। বাকীগুলো অন্যান্য চোরাচালানীর সাথে জড়িত।
জানাগেছে সিন্ডিকেটের মূল হোতারা শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা, বিনোদপুর, শাহাবাজপুর, দূর্লভপুর ও উজিরপুর, পাকা, দাইপুকুরিয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নের বিশেষ করে মনাকষা, খাসেরহাট, তর্তীপুরহাট, দূর্লভপুর বাজার, সাহাপাড়া বাজার, আবোল মিঞার হাট, তেলকুপির বাজার, পাকা দশরশিয়া বাজার এলাকায় দোকান ঘর নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন হুন্ডি ব্যবসা। ওই ঘর গুলোয় দু’ এজন লোক শুধু কাগজ নিয়ে বসে থাকেন। গরু ব্যবসায়ী কিংবা চোরাচালানীরা আসলে তাদের হাতে টাকা বুঝে নিয়ে ধরিয়ে দেয়া হয সংকেত বা শ্লিপ। যে সংকেত বা শ্লিপের মাধ্যমে তাদের সরবরাহ করা হয় রূপী।
কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী জানিয়েছেন গরু ব্যবসার েেত্র নগদ টাকা বহন করা সম্ভব নয়। তাই তারা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেন। তারা জানান শিবগঞ্জের সীমান্তবর্তী ভারতের ধূলিয়ান, বাখরাবাজ, মালদহ, কালিয়াচক, শশ্নানী এলাকায় বাংলাদেশের মতই হুন্ডি ব্যবসায়ীরা দোকান খুলে বসে আছেন। মোবাইল ফোনের যোগাযোগের পাশাপাশি বাংলাদেশের টাকার অংক হিসেবে এক টাকা, দুই টাকা, পাঁচ টাকাও দশ টাকা,একশ টাকা পাঁচ শ টাকার নোটের নম্বর ব্যবহার করা হয়। এখানাকার টাকার নম্বরটা মোবাইল ফোনে ভারতীয় হুন্ডিব্যবসায়ীদে জানিয়ে দেয়া হয়। টাকার নোটটি ভারতীয় হুন্ডি ব্যবসায়ীদের পৌছে দিলেও রূপী মিলে যায়। অনুরূপভাবে ঘটে বাংলাদেশ অংশেও টাকার লেনদেন।
ওই সূত্র জানিয়েছে শিবগঞ্জ সীমান্ত এলাকাগুলোয় এইভাবে প্রতিদিন কোটি টাকার হুন্ডি ব্যবসা হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে আইনশৃংখলা রক্ষা বহিনীর ‘সু সর্ম্পক’ থাকায় তারা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘শুনেছি হুন্ডি ব্যবসা হয়।তবে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে হলে জেনে বলতে পারবো’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হুন্ডি ব্যবসা হলে সরকার শতভাগ রাজ¯ ^ হারাবে। এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২২-০৫-১৮
অনুসন্ধানে জানা গেছে শিবগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রায় ২শ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনেকেই হুন্ডি ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে কোটি কোটি টাকার লেনদেন। সূত্র জানিয়েছে হুন্ডি ব্যবসায় ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সংকেত। এ সংকেতগুলির মাধ্যমে ভারতে সিন্ডিকেটের সাথে লেনদেন হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ওই সুত্র জানায় যারা টাকা অবৈধ পথে লেনদেন করে তাদের প্রায় অর্ধেকই গরু ব্যাবসায়ী। বাকীগুলো অন্যান্য চোরাচালানীর সাথে জড়িত।
জানাগেছে সিন্ডিকেটের মূল হোতারা শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা, বিনোদপুর, শাহাবাজপুর, দূর্লভপুর ও উজিরপুর, পাকা, দাইপুকুরিয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নের বিশেষ করে মনাকষা, খাসেরহাট, তর্তীপুরহাট, দূর্লভপুর বাজার, সাহাপাড়া বাজার, আবোল মিঞার হাট, তেলকুপির বাজার, পাকা দশরশিয়া বাজার এলাকায় দোকান ঘর নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন হুন্ডি ব্যবসা। ওই ঘর গুলোয় দু’ এজন লোক শুধু কাগজ নিয়ে বসে থাকেন। গরু ব্যবসায়ী কিংবা চোরাচালানীরা আসলে তাদের হাতে টাকা বুঝে নিয়ে ধরিয়ে দেয়া হয সংকেত বা শ্লিপ। যে সংকেত বা শ্লিপের মাধ্যমে তাদের সরবরাহ করা হয় রূপী।
কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী জানিয়েছেন গরু ব্যবসার েেত্র নগদ টাকা বহন করা সম্ভব নয়। তাই তারা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেন। তারা জানান শিবগঞ্জের সীমান্তবর্তী ভারতের ধূলিয়ান, বাখরাবাজ, মালদহ, কালিয়াচক, শশ্নানী এলাকায় বাংলাদেশের মতই হুন্ডি ব্যবসায়ীরা দোকান খুলে বসে আছেন। মোবাইল ফোনের যোগাযোগের পাশাপাশি বাংলাদেশের টাকার অংক হিসেবে এক টাকা, দুই টাকা, পাঁচ টাকাও দশ টাকা,একশ টাকা পাঁচ শ টাকার নোটের নম্বর ব্যবহার করা হয়। এখানাকার টাকার নম্বরটা মোবাইল ফোনে ভারতীয় হুন্ডিব্যবসায়ীদে জানিয়ে দেয়া হয়। টাকার নোটটি ভারতীয় হুন্ডি ব্যবসায়ীদের পৌছে দিলেও রূপী মিলে যায়। অনুরূপভাবে ঘটে বাংলাদেশ অংশেও টাকার লেনদেন।
ওই সূত্র জানিয়েছে শিবগঞ্জ সীমান্ত এলাকাগুলোয় এইভাবে প্রতিদিন কোটি টাকার হুন্ডি ব্যবসা হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে আইনশৃংখলা রক্ষা বহিনীর ‘সু সর্ম্পক’ থাকায় তারা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘শুনেছি হুন্ডি ব্যবসা হয়।তবে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে হলে জেনে বলতে পারবো’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হুন্ডি ব্যবসা হলে সরকার শতভাগ রাজ¯ ^ হারাবে। এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২২-০৫-১৮
from Chapainawabganjnews https://ift.tt/2s3sRs0
May 22, 2018 at 09:12PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন