সুরমা টাইমস্ ডেস্ক ঃঃ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বাউশা ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামে শ্রী শ্রী শ্মশান কালী মন্দিরে মূর্তি ভাংচুর ও টাকাভর্তি দান বাক্স নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে।
এ ঘটনাকে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের দাবী আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষে একটি কূচক্রী মহল এই ষড়যন্ত্র করেছে। খবর পেয়ে গতকাল শনিবার সকালে ওই মন্দির পরিদর্শন করেন পুলিশ ও বিভিন্ন মহলের নেতৃবৃন্দ।
সুত্রে প্রকাশ, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বাউশা ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামে প্রায় কয়েক শতাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের হিন্দু ধর্মালম্বীদের ঐতিহ্যবাহী এ কালী মন্দির। এখানে তারা নিয়মিত পূজা ও অর্চনা করে থাকেন। গত শুক্রবার রাতে অন্ধকারে কে বা কারা মন্দিরের গেইটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে মুর্তি ভাংচুর করেছে। এসময় এখানে রক্ষিত টাকাভর্তি দান বাক্স চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ সংবাদটি গতকাল শনিবার সকালে জানানো হলে হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নারায়ন রায়, সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার পাল হিমেল,পৌরসভার প্যানেল মেয়র এটি এম সালাম, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক, উপজেলা হিন্দু দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্না, ওসি অপারেশন নুরুল ইসলাম, নবীগঞ্জ থানার এস আই পলাশ চন্দ্র দাশ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দপ্তর সম্পাদক অমলেন্দু সুত্রধর,রাজীব কুমার রায়,বাউসা ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি শিক্ষক রাখাল চন্দ্র দাশ, সাধারন সম্পাদক প্রদীপ কুমার রায়,গোপাল পাল,রঞ্জন পাল,
ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল হকসহ অন্যান্য লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি নীলকণ্ট রায়, সাধারন সম্পাদক নৃপেন্দ্র পাল, অনন্ত জিউড় আখড়ার সেবায়েত অমল অধিকারী, পানু চন্দ,মহেন্দ্র রায়, রাখাল চন্দ্র দাশ, অরবিন্দু দাশ,সাংবাদিক মতিউর রহমান মুন্নাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মন্দির কমিটির নের্তৃবৃন্দ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক নৃপেন্দ্র পাল বাদী হয়ে গতকাল শনিবার বিকালে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে বাহুবল সার্কেলের এ এসপি পারভেজ আহমদ চৌধুরী জানান, ঘটনার সাথে জড়িত বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়মীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য এডভোকেট সুলতান মাহমুদ,উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভপতি নারায়ন রায়, সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক উত্তম কুমার পাল হিমেলসহ অন্যান্য নের্তৃবৃন্দ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করার জন্য একটি কুচক্রীমহল পরিকল্পিতভাবে এই জঘন্যতম কাজ করেছে। তাই ঘটনার সাথে জড়িতদের খুজে বের করে আইনের আওতায় এতে দৃষ্টান মুলক শাস্তি দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস https://ift.tt/2KRmRdT
May 13, 2018 at 12:32AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন