কলকাতা, ০৫ মে- দমদম বিমানবন্দর ও বাঁকরা সংলগ্ন একটি বড় খাটালে থাকা মৃত পশুগুলো তুলে নিয়ে দুটো ভাঙা বাড়িতে রাখা হতো। এর পর গাড়িতে করে সেগুলিকে মধ্যমগ্রাম থেকে রাতের অন্ধকারে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হতো। তারপর ভাগারের মাংস বিক্রির জন্য চলে যেত বাজারে। এভাবে সহযোগীদের সাহায্যে ভাগারের মাংস বেচে কোটিপতি হয়েছেন বিশ্বনাথ ঘড়ুই ওরফে বিশু। সোনারপুরের গঙ্গাজোয়ারার কাটিপোতা গ্রামে বিশুর আসল বাড়ি। এই ব্যবসায় প্রচুর লাভের ফলে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন প্রান্তে ৪টি বাড়ির মালিকও হয়েছেন তিনি। সোনারপুরের গড়িয়া পাঁচপোতা লাগোয়া পূর্ব তেঁতুলবেড়িয়ায় তার তিনতলা বাড়ি রয়েছে। এই বাড়ি থেকেই বিশুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া গড়িয়া স্টেশনের কাছেও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। মোটরবাইক এবং চার চাকার বড় গাড়িও রয়েছে তার। বিশ্বনাথ ঘড়ুই ওরফে বিশুকে জিজ্ঞাসাদের পর পাচার চক্রের এই জালের কথা জানতে পেরেছে পুলিশ। বিভিন্ন এলাকা ভাগ করে এই পাচার চক্র সক্রিয় ছিল। সে-সব জায়গায় নিয়োগ করা হত বিশেষ ব্যক্তি। তাদের নামও উঠে আসছে পুলিশের কাছে। আর তাতেই পরিষ্কার, এই পাচারচক্র গোটা উত্তর ২৪ পরগনা জুড়েই সক্রিয় ছিল। কাঁকিনাড়া, জগদ্দল থেকে দমদম বিমানবন্দর লাগোয়া ভাগাড়েও এই পাচার চক্রের সহযোগীরা রয়েছেন। বৃহস্পতিবার উল্টোডাঙা এলাকা থেকে মহম্মদ আকমল নামের এ বিষয়ে এক জড়িত ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। পাশাপাশি গঙ্গানগর ও মধ্যমগ্রাম সংলগ্ন বাঁকরায় তল্লাশি চালিয়ে ওই দিন রাতে শেখ সিকন্দর আলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সারাফত ও বিশুর অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন সিকন্দার। পুলিশ জানায়, প্রায় ২০ বছর ধরে এই কাজ করে হতদরিদ্র থেকে আজ সিকন্দর বেশ কয়েকটি গাড়ির মালিক। তাকেও জিঞ্জাসাবাদের পর আরও জড়িত কয়েকজনকে খুঁজছে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বিশু জানিয়েছে, ১০ বছর ধরে এই ব্যবসা করছেন তিনি। মাছ ব্যবসার আড়ালে এই ব্যবসায় তার হাতেখড়ি। গড়িয়াহাট ও রাজাবাজারে তার মাছের আড়ত রয়েছে। সেই মাছ বিক্রি করতে গিয়েই ভাগাড়ের পচা মাংস পাচারের কাজ শুরু করেছিল বিশু। সোনারপুরের গড়িয়া পাঁচপোতা লাগোয়া পূর্ব তেঁতুলবেড়িয়ায় তার তিনতলা বাড়ি রয়েছে। এই বাড়ি থেকেই বিশুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া গড়িয়া স্টেশনের কাছেও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। মোটরবাইক এবং চার চাকার বড় গাড়িও রয়েছে তার। স্থানীয়রা জানান, বিশুর ছেলে ও মেয়ের মধ্যে মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। জানা গেছে, সহযোগী ও চেলাদের ভাগ দিয়েও বিশু মোটা টাকাই লাভ করতেন। বিশু ও তার সহযোগী সানি ও সিকন্দর এবং সারাফতকে মুখোমুখি বসিয়ে জিঞ্জাসাবাদ করা হবে। তবেই আসল তথ্য উঠে আসবে বলে জানান পুলিশ। সূত্র: যুগান্তর আর/১৭:১৪/০৫ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2JVrZMJ
May 05, 2018 at 11:56PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন