চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের রশিকনগর শিরোটোলা গ্রামের নিহত স্কুল ছাত্রী শ্যামলী খাতুন (১৬) হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এলাকাবাসী স্থানীয় চার যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সোপার্দ করা চারজনের মধ্যে তিনজনকে মামলার সন্দেহজনক আসামী হিসেবে উল্লেখ করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপরজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে শ্যামলী হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে শিবগঞ্জ বাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন চলাকালে বিক্ষুব্ধ জনতা গাছের গুড়ি ফেলে কিছু সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনামসজিদ মহাসড়ক অবরোধ করে।
স্থানীয়রা জানায় চাঞ্চল্যকর শ্যামলী হত্যাকান্ডের পর বুধবার ভোর রাতে একই এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে ও শ্যামলীর মামাতো ভাই টুটুল আলী (২২) সন্দেহজনকভাবে শ্যামলীর বাড়ির সামনে ঘোরাঘুরি করার সময় প্রথমে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরেই আটক করে নাজমুল হকের ছেলে দুরুল (২৩) ও রশিকনগর উচুডিহির বেলায়েত আলীর ছেলে মুকুল (২৭) ও বিনোদপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সোহাগ (২৫) কে। স্থানীয় সূত্র জানায় চারজনকে আটকের পর স্থানীয়া পুলিশকে খবর দিলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (অপারেশ) কবির হোসেন অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চার যুবক কে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ সূত্র জানায় স্থানীয়দের ধরে দেয়া চার যুবককে পুলিশ দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের অংশ নেন পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে সোহাগকে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে সূত্র জানিয়েছে স্পর্শকাতর এই হত্যকান্ডটিকে ঘিরে স্থানীয়ভাবে একটি ‘অতি উৎসাহী’ গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে। যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তে সমস্যার কারণ হচ্ছে।
এদিকে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রকৃত হত্যাকারীদের খুজে বের করে শাস্তির দাবিতে সকালে শিবগঞ্জে মানববন্ধন ও সমাবেশে করেছে। এলাকাবাসীর ব্যানারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের বহলাবাড়ি মোড়ের ছাইতন তলায় এই মানববন্ধন ও সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে রশিকনগর গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের পাচঁ শতাধিক নারী-পুরুষেরা অংশ নেয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অবিলম্বের হত্যাকারীদের খুজে বের করে শাস্তির দাবি করেন বক্তারা। এদিকে মানববন্ধন চলাকালে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়ক অবরোধ করে। গাছের গুড়ি ফেলে বন্ধ করে দেয়া হয় যানচলাচল। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (অপারেশ) কবির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সোপার্দ করার পর তিনজনকে মামলার সন্দেহজনক আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার দিবাগত গভীর রাতে রশিকনগরের প্রবাসী কবির হোসেনের বাড়িতে ঢুকে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হত্যাকারীরা। এরআগে তারা প্রথমে কবির হোসেনের স্ত্রী আলেয়ারা বেগম, বড় মেয়ে চাম্পা খাতুন ও শ্যামলী খাতুনকে অচেতন করার শ্যামলীকে হত্যা করে। হত্যাকান্ডকালে আলেয়ার দু’ মেয়ের গলায় থাকা সোনার মালা, পায়ের নূপুর নিয়ে যায় তারা।
ওই দিনই এঘটনায় নিহতের মা আলিয়ারা বেগম বাদি হয়ে শিবগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/২৩-০৫-১৮
স্থানীয়রা জানায় চাঞ্চল্যকর শ্যামলী হত্যাকান্ডের পর বুধবার ভোর রাতে একই এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে ও শ্যামলীর মামাতো ভাই টুটুল আলী (২২) সন্দেহজনকভাবে শ্যামলীর বাড়ির সামনে ঘোরাঘুরি করার সময় প্রথমে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরেই আটক করে নাজমুল হকের ছেলে দুরুল (২৩) ও রশিকনগর উচুডিহির বেলায়েত আলীর ছেলে মুকুল (২৭) ও বিনোদপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সোহাগ (২৫) কে। স্থানীয় সূত্র জানায় চারজনকে আটকের পর স্থানীয়া পুলিশকে খবর দিলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (অপারেশ) কবির হোসেন অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চার যুবক কে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ সূত্র জানায় স্থানীয়দের ধরে দেয়া চার যুবককে পুলিশ দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের অংশ নেন পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে সোহাগকে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে সূত্র জানিয়েছে স্পর্শকাতর এই হত্যকান্ডটিকে ঘিরে স্থানীয়ভাবে একটি ‘অতি উৎসাহী’ গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে। যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তে সমস্যার কারণ হচ্ছে।
এদিকে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রকৃত হত্যাকারীদের খুজে বের করে শাস্তির দাবিতে সকালে শিবগঞ্জে মানববন্ধন ও সমাবেশে করেছে। এলাকাবাসীর ব্যানারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের বহলাবাড়ি মোড়ের ছাইতন তলায় এই মানববন্ধন ও সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে রশিকনগর গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের পাচঁ শতাধিক নারী-পুরুষেরা অংশ নেয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অবিলম্বের হত্যাকারীদের খুজে বের করে শাস্তির দাবি করেন বক্তারা। এদিকে মানববন্ধন চলাকালে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়ক অবরোধ করে। গাছের গুড়ি ফেলে বন্ধ করে দেয়া হয় যানচলাচল। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (অপারেশ) কবির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সোপার্দ করার পর তিনজনকে মামলার সন্দেহজনক আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার দিবাগত গভীর রাতে রশিকনগরের প্রবাসী কবির হোসেনের বাড়িতে ঢুকে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হত্যাকারীরা। এরআগে তারা প্রথমে কবির হোসেনের স্ত্রী আলেয়ারা বেগম, বড় মেয়ে চাম্পা খাতুন ও শ্যামলী খাতুনকে অচেতন করার শ্যামলীকে হত্যা করে। হত্যাকান্ডকালে আলেয়ার দু’ মেয়ের গলায় থাকা সোনার মালা, পায়ের নূপুর নিয়ে যায় তারা।
ওই দিনই এঘটনায় নিহতের মা আলিয়ারা বেগম বাদি হয়ে শিবগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/২৩-০৫-১৮
from Chapainawabganjnews https://ift.tt/2GIMvOz
May 23, 2018 at 03:32PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন