চুটিয়ে প্রেম করবে, গোপনে বিয়ে করবে, এরপর লুকিয়ে বিচ্ছেদেরও সিদ্ধান্ত নেবেকিন্তু কেউ জানতে পারবে না, সংবাদমাধ্যমে লেখা তো দূরের কথা, এমন মানসিকতা বাংলাদেশের এ সময়ের অনেক নায়ক-নায়িকার। টেলিভিশন আর গানের জগতের মানুষেরা এ ক্ষেত্রে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। বরাবরই তারাকারা প্রেম-বিয়ের খবর গোপন রাখার চেষ্টা করেন। কেউ তো আবার এককাঠি সরেস, বিয়ে-শাদি করে দিব্যি সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন, এত কিছুর পরও বুলি আওড়ানএখনো তাঁরা বিয়েই করেননি। পছন্দসই পাত্র-পাত্রী পেলে তবেই বিয়ের কাজটি সেরে নেবেন। আর প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তারকাদের একটা কমন কথা হচ্ছে, উই আর জাস্ট ফ্রেন্ড। আবার অনেকে আরও বলেন, প্রেম বিয়ে? ওটা কী! ছি ছি! কাজ করেই শেষ করতে পারছি না, প্রেম-বিয়ে করার সময় কেথায়! সাম্প্রতিক সময়ে ঢালিউডে সবচেয়ে আলোচিত গোপন প্রেম-বিয়ের ব্যাপার এলেই সামনে চলে আসবে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের নাম। আট বছরের বেশি সময় সংসার চালিয়ে যাওয়া এই দুই নায়ক-নায়িকা সন্তান জন্মের পরও নিজেদের সংসারের কথা গোপন রাখেন। এরপর হঠাৎ করে গত বছর ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সন্তানসহ হাজির হন অপু বিশ্বাস। সরাসরি সম্প্রচারিত সেই অনুষ্ঠানে অপু বিশ্বাস জানান, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিবের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় আর ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের কলকাতার একটি হাসপাতালে তাঁদের ছেলের জন্ম হয়। যদিও ওই দিনটির আগে পর্যন্ত অপু বিশ্বাসকে যতবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, শাকিবের সঙ্গে তাঁর বিয়ের কথা ততবারই হেসে উড়িয়ে দেন তিনি। শাকিব আর অপুর বিয়ের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার ঝড় বইতে থাকে। বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের এ সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়কের বিয়ের খবর প্রকাশের পর দেশের বাইরে থাকা বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মধ্যেও ছিল ব্যাপক আলোচনা। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এই নায়কের কাঁধে ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র। এখন তিনি পাশের দেশ ভারতেও তাঁর জনপ্রিয়তার বিস্তার করছেন। শাকিব খানের বিয়ের খবর প্রকাশের আগে ঢালিউডের আরেকজন নায়ক ইমনও তাঁর বিয়ের খবর গোপন রাখেন। শুধু তা-ই নয়, এই নায়ক স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দিব্যি সংসার করলেও বিয়ের ব্যাপার নিয়ে মুখ খোলেননি। তাঁর ধারণা ছিল, বিয়ের খবর যদি প্রকাশ হয়, তাহলে ভক্তরা তাঁর ছবি দেখতে ততটা আগ্রহী হবেন না। একপর্যায়ে নিজের বিয়ে আর দুই সন্তানের কথা সংবাদমাধ্যমের কাছে স্বীকার করতে বাধ্য হন এই নায়ক। দুই যুগের বেশি সময় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে দাপিয়ে বেড়ানো জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের প্রেম-বিয়ে নিয়ে অনেক লুকোচুরি হয়েছে। তাঁকে নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে তাঁর সমসাময়িক নায়িকাদের তুলনায় অনেক গুণ। সালমান শাহর সঙ্গে এই নায়িকার প্রেমের কথা চলচ্চিত্রের সবাই জানলেও সংবাদমাধ্যমে শাবনূর বরাবরই বলেছেন, তাঁরা দুজন ভাইবোনের মতো। সালমানের কোনো ছোট বোন ছিল না, শাবনূরকে তাই বোন মনে করে আদর করে পিচ্চি বলেই নাকি ডাকতেন এই নায়ক। বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহর পর শাবনূর আর রিয়াজের প্রেমের খবর সবচেয়ে বেশি রটেছে। শাবনূরের বিয়ে নিয়ে অনেক কথা শোনা যায়। চলচ্চিত্রে কাজ করার একপর্যায়ে শাবনূর অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ঘন ঘন যাওয়া-আসা শুরু করেন। ২০১৩ সালে হঠাৎ শোনা যায় তিনি বিয়ের কাজটি সেরে নেন। ঢালিউডের দাপুটে এই নায়িকার বিয়ের তারিখ নিয়েও বিভ্রান্তি শুরু হয়। শাবনূর বলেন ৬ ডিসেম্বর, আর তাঁর বর অনীক মাহমুদ বলেন ২৮ ডিসেম্বর। শাবনূর বলেন ২০১১, তাঁর বর বলছেন ২০১২! আসলে শাবনূর বিয়ে করেছেন কবে, এ নিয়ে চলচ্চিত্রে তাঁর সহকর্মীরাও বিভ্রান্ত হন। অনীক মাহমুদ ও শাবনূরের সংসারে আইজান নামে একটা ছেলে রয়েছে। এর আগে আরও দুজনের সঙ্গে শাবনূরের বিয়ের খবর শোনা যায়, তবে এসব বিষয়ে কোনো কিছু শাবনূর আজও বলেননি। আরেকটু পেছন ফিরে তাকালে দেখা যাবে, শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, ইমন, শাবনূরের আগে আরও অনেক তারকা তাঁদের প্রেম-বিয়ের খবর গোপন রেখেছিলেন। গত শতকের নব্বইয়ের দশকে ঢালিউডের জনপ্রিয় পর্দা জুটি ওমর সানী ও মৌসুমীর প্রেমের ঘটনা তখন প্রায়ই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতো। এমনকি তাঁদের গোপন বিয়ের খবরও শোনা গেছে। কিন্তু প্রেম-বিয়ে বিষয়ে দুজনই মুখে কুলুপ এঁটে রাখতেন। হঠাৎ ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বিয়ের কথা সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেন তাঁরা। টেলিভিশনের ব্যস্ত অভিনয়শিল্পী জাকিয়া বারী মম এখন চলচ্চিত্রেও কাজ করছেন। এই অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে নির্মাতা এজাজ মুন্নার বিচ্ছেদের পর বেশ কিছুদিন একা ছিলেন। এরপর আরেক নির্মাতা শিহাব শাহীনের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এই নির্মাতার প্রথম চলচ্চিত্র ছুঁয়ে দিলে মন-এ অভিনয় করে প্রশংসিত হন মম। শিহাব শাহীনের পরের চলচ্চিত্র মনফড়িং-এর নায়িকা হিসেবে কাজ করবেন মম। শোনা যাচ্ছে, তাঁরা দুজন বছর দুয়েক আগে বিয়ের কাজটি সেরে নিয়েছেন। এ বিষয়ে তাঁরা কেউ নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে চান না। তবে মিডিয়ার বিভিন্ন ঘরোয়া এবং বড় বড় সব অনুষ্ঠানে মম ও শিহাব শাহীনকে একই গাড়িতে করে আসা-যাওয়া করতে দেখা যায়। বন্ধু-সহকর্মীদের কেউ কেউ আবার এমন মন্তব্য করেছেন, সবার চোখের সামনে দিয়ে তাঁরা সব জায়গায় একসঙ্গে যাওয়া-আসা করছেন, বিয়ের ব্যাপারটা ঘোষণা করে দিলেই তো হয়। এত লুকোচুরি কেন? তাঁরা দুজন ভালো থাকলে তো সবার জন্যই ভালো। চলচ্চিত্রের কেউ কেউ বলছেন, ঢালিউডের এ সময়ের জনপ্রিয় নায়ক সাইমনও নাকি বিবাহিত। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তিনি কোনো কথা বলতে চান না। নব্বইয়ের দশকের পর ঢালিউডের নায়ক-নায়িকারা যেভাবে প্রেম-বিয়ে গোপন করেছেন, তার আগের সবাই ছিলেন ততটাই খোলামেলা। ষাটের দশক থেকে যেসব নায়িক-নায়িকা চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন, তাঁদের অনেকেই হয় বিবাহিত ছিলেন, নয় তো অভিনয় জীবনের শুরুতে বিয়ে করেন। তাঁদের মধ্যে সুমিতা দেবী, খান আতাউর রহমান, আনোয়ার হোসেন, সৈয়দ হাসান ইমাম, রওশন আরা, সুলতানা জামান উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের প্রথম দিককার সুপারস্টার রহমানও অভিনয় জীবন শুরু করেন বিবাহিত নায়ক হিসেবে। পর্দায় তাঁর সঙ্গে জুটি হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন শবনম, তিনিও অভিনয় জীবনের শুরুতে বিয়ে করেন সুরকার ও সংগীত পরিচালক রবিন ঘোষকে। রহমান ও শবনমের পর জুটি হিসেবে জনপ্রিয় হন আজিম ও সুজাতা। এই জুটির রূপবান ছবির নাম তো বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি। পর্দার এই সফল জুটি পরবর্তী সময়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পরও এই জুটির প্রতি দর্শকের আগ্রহের একটুও কমতি হয়নি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক রাজ্জাক ও নায়িকা কবরী অভিনয় জীবন শুরু করেন বিবাহিত হয়েই। আর রাজ্জাক ছিলেন এক সন্তানের বাবা। চলচ্চিত্রপ্রেমী দর্শকের কাছে রোমান্টিক নায়ক হিসেবে আজও মানুষের মনের মণিকোঠায় ঠাঁই করে আছেন। কবরীর সঙ্গে রাজ্জাকের পর্দা জুটি সবার কাছে অন্য রকম আবেদন তৈরি করে। কবরীর পাশাপাশি রাজ্জাক অভিনয় করেন শবনম, শাবানা, ববিতা, সুচন্দা, সুজাতা, সুচরিতার মতো তারকার সঙ্গে। রোমান্টিক ইমেজের পাশাপাশি অ্যাকশন হিরো হিসেবেও নিজের জাত চিনিয়েছেন এই নায়ক, তা বিবাহিত নায়ক হিসেবেই। এরপরও যাঁরা বিবাহিত হয়ে অভিনয় জীবন শুরু করে জনপ্রিয়তা পান, তাঁদের মধ্যে আছেন বুলবুল আহমেদ, সোহেল রানা, ফারুক, উজ্জ্বল, জাফর ইকবাল, জসীম, ইলিয়াস কাঞ্চনের নাম উল্লেখযোগ্য। শুধু পর্দায় অভিনয় করে তাঁরা দর্শক-হৃদয়ে জায়গা করে নেন। চলচ্চিত্রের মানুষের কাছে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন কোনোভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। ষাটের দশকের নায়িকারা বিয়ের ব্যাপারে খোলামেলা ছিলেন। বিয়ে কোনোভাবেই তাঁদের ভক্তদের ভালোবাসা থেকে বিন্দুমাত্র দূরে সরাতে পারেনি। বিবাহিত হয়েও রোমান্টিক নায়িকা হিসেবে ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন চলচ্চিত্রের মিষ্টি মেয়ে নামে পরিচিত অভিনেত্রী কবরী। রাজ্জাকের পাশাপাশি বুলবুল আহমেদ ও ফারুকের সঙ্গে অভিনয় করেন কবরী। অভিনয় জীবনের শুরুতে বিয়ে না করলেও ৬০-৭০ দশকের অসংখ্য ব্যবসাসফল ছবির নায়িকা শাবানা বিয়ে করেন ১৯৭৩ সালে, তখন তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন। বিয়ের পর প্রায় তিন দশক নিজের জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়তে দেননি ভিন্নধর্মী সব কাজ দর্শকদের উপহার দিয়ে। ৩৬ বছরের অভিনয় জীবনে ২৯৯টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। যত দিন পর্যন্ত কাজ করেছেন, সমান তালে জনপ্রিয় ছিলেন। ২০০০ সালে একেবারে ব্যক্তিগত কারণে হঠাৎ করেই চলচ্চিত্র জগৎ থেকে নিজেকে আড়াল করে নেন এ নায়িকা। দেড় যুগ ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয়ে না থাকলেও বাংলাদেশের মানুষের কাছে আজও নিজের অবস্থান বিন্দুমাত্র কমেনি। শাবানার পর ববিতাও জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকে বিয়ে করেন। তারপরও বেশ দাপটের সঙ্গে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যান। রাজ্জাক ও জাফর ইকবালের সঙ্গে তাঁর দারুণ জুটি গড়ে ওঠে। ব্যক্তিগত জীবনে অনেক নায়কের সঙ্গেই তাঁর প্রেম বা বিয়ের কথা শোনা গেলেও জাফর ইকবালের সঙ্গে সম্পর্কের সত্যতা ছিল, যদিও তা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। শাকিব খান পূর্ববর্তী সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়কের নাম সালমান শাহ। নব্বইয়ের দশকে ঢালিউডে এই নায়কের আবির্ভাব অনেকটু ধূমকেতুর মতো। তাঁকে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা নায়ক বলা হয়, সাফল্যের বরপুত্রও বলা হয় এই নায়ককে। মাত্র চার বছরের অভিনয় জীবনে ২৭টি ছবিতে অভিনয় করেন, যাঁর সব কটি ব্যবসায়িকভাবে সফল যেমন হয়েছিল, পেয়েছিল দর্শকপ্রিয়তা। দেশের তরুণ-তরুণীদের হার্টথ্রব নায়ক হিসেবে জায়গা করে নেন প্রথম ছবি কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির মাধ্যমে। প্রথমে মৌসুমী ও পরে শাবনূরের সঙ্গে জুটি হয়ে একের পর এক ব্যবসাসফল ছবি উপহার দেন তিনি। বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা এই নায়ক অভিনয়ের শুরুতেই বিবাহিত ছিলেন। চলচ্চিত্রে পপির অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৯৭ সালে কুলি ছবির মধ্য দিয়ে। দুই দশকেরও বেশি সময় কাজ করেছেন দুই শতাধিক ছবিতে। এই সময়ে সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন শাকিব খান, ওমর সানী, মান্না, রুবেল, রিয়াজ ও শাকিল খানকে। ছবিতে কাজ করার একপর্যায়ে এসে তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় শাকিল খানের। চলচ্চিত্রের অনেকের মতে, তাঁরা বিয়েও করেছিলেন। একপর্যায়ে শাকিলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করতে বাধ্য হন পপি। শুধু তা-ই নয়, এই প্রেমের সম্পর্ক নিজের জীবনের অন্যতম ভুল মনে করেন এই নায়িকা। পপির মতে, শাকিল খান তাঁর জন্য মোটেও ঠিক পছন্দ ছিল না। আর যখন থেকে বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন, তখন আর প্রেমের সম্পর্ক নিয়মিত হয়নি। চলচ্চিত্রের কেউ কেউ আবার এমনও বলেছেন, কয়েক বছর ধরে পপি প্রেমের সম্পর্কে আছেন আরেক নায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে। যদিও পপি এই সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি। এ ছাড়া শাবনাজ, নাঈম, মান্না, চম্পা, দিতি, সোহেল চৌধুরীদের প্রেম নিয়ে লুকোচুরির খবর পাওয়া গেলেও বিয়ের ব্যাপারে তাঁরা ছিলেন খোলামেলা। সূত্র: প্রথম আলো আর/০৭:১৪/০৪ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2rmcRjW
May 05, 2018 at 05:10AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top