আর মাত্র কয়েক দিন এরপরই পর্দা উঠতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের। এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে রাশিয়া। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে রাশিয়ার সবকিছুই নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। রাশিয়ার ১১টি শহরে প্রস্তুত করা হয়েছে ১২টি স্টেডিয়াম, যার ছয়টিই তৈরি হয়েছে বিশ্ব কাপ আসর উপলক্ষ্যে! বিশ্বকাপে স্টেডিয়াম নির্মাণ ও পুনঃসংস্কারে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার! আাগামী ১৪ জুন পর্দা উঠবে ফুটবল বিশ্বকাপের। বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ফুটবল প্রেমীদের মাঝে উত্তেজনা তুঙ্গে। খেলার দিন গননায় ব্যস্ত খেলোয়াড় থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থকরা। বিশ্বকাপের একুশতম আসরে ৮ গ্রুপে অংশ নিচ্ছে ৩২টি দল। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আয়োজন করছে রাশিয়া। স্বাগতিকদের সঙ্গে গ্রুপ এ তে রয়েছে উরুগুয়ে, সৌদি আরব ও মিশর। দেখে যাক গ্রুপটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৪ খেলোয়াড় ইগোর আকিনফিব (রাশিয়া) ছোট বেলা থেকেই সিএসকেএ মস্কো ক্লাবের হয়ে খেলা শুরু করেন। সিনিয়র লেভেলে এসেও দলের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়েছেন ইগোর আকিনফিব । ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে সফলতম দলটির হয়ে প্রায় ৫০০ ম্যাচ খেলেছেন। ক্যারিয়ারে ৬টি রাশিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ও রাশিয়ান কাপের শিরোপা জিতেছেন। ২০০৫ সালে উয়েফা কাপও জিতে নিয়েছেন এই গোলকিপার।২০০৪ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলতে নেমে এই পর্যন্ত মোট ১০৪টি ম্যাচ খেলেছেন। গত বছরের নভেম্বরে দেশের জার্সিতে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্বও করেছেন। চলতি আসরের প্রথম ম্যাচেই নামবে এ গ্রুপের দুই দল রাশিয়া ও সৌদি আরব। ৩২ বছর বয়সী এই তারকার নেতৃত্বেই এবারের বিশ্বকাপে মাঠ মাতাবে স্বাগতিকরা। মোহাম্মদ আল-সালাহওয়ি (সৌদি আরব) সৌদি আরবের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ইউরোপিয়ান লিগে খেলা কোনো ফুটবলার নেই। তবে বাছাই পর্বে ১৬টি গোল করে বিশেষ নজর কেড়েছেন মোহাম্মদ আল-সালাহওয়ি। ৩১ বছর বয়সী এই গোল মেশিন দেশটির ঘরোয়া লিগ আল-নাসরের হয়ে খেলছেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির অন্যতম প্রধান শক্তি হচ্ছে কোচ জুয়ান আন্তোনিয় পিজ্জি। স্পেন ও বার্সার হয়ে খেলা সাবেক এই তারকা ফুটবলারের অধীনেই মাঠে নামবে সৌদি। মোহাম্মদ সালাহ (মিশর) মিশর জাতীয় দলকে মূল পর্বে নিয়ে আসতে মোহাম্মদ সালাহ অবদান সবচেয়ে বেশি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিভারপুলে হয়ে খেলেন এই ফরোয়ার্ড। মিশরের মেসি হিসেবে খ্যাত এই তারকা সালাহ ১৯৯২ সালের ১৫ জুন জন্মগ্রহণ করেন দেশটির নাগরিগে। নিজের ২৬তম দিনে উরুগুয়ে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে অভিষেক হচ্ছে এই মিশরীয় রাজার। চলতি মৌসুমে এরই মধ্যে অলরেডদের হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৪৪টি গোল করেছেন। প্রিমিয়ার লিগেই রয়েছে ৩২টি গোল। ফর্মে থাকা এই তারকার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে মিশরীয়রা। এডিনসন কাভানি (উরুগুয়ে) দুইবারের বিশ্বসেরা উরুগুয়ে এ গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। বিশ্বকাপের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন দলটি সবশেষ ১৯৫০ সালে শিরোপার স্বাদ পেয়েছে। ২০১০ সালে ডিয়াগো ফরলানের কাঁধে ভর করে সোনালি স্বপ্নটি হাতের কাছেও পেয়েও শেষ মুহূর্তে হাত ছাড়া হয়। দলে রয়েছেন বার্সেলোনার হয়ে খেলা লুইস সুয়ারেজ ও প্যারিস সেন্ট জামের্ইর (পিএসজি) হয়ে খেলা এডিনসন কাভানি। ফ্রেঞ্চলিগ ওয়ানের দলটির হয়ে আগে জ্লতান ইব্রহিমোবিচ ও বর্তমানে নেইমারের মতো গোল মেশিন দলে থাকতেও থেমে নেই কাভানি। চলতি মৌসুমে পিএসজির হয়ে ৪৮ ম্যাচে ৪০ গোল দিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী এই তারকা। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ফরোয়ার্ড বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অবশ্যই বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানের শিরোপাটির সঙ্গে নিজের নাম লেখাতে চাইবেন। এমএ/ ০৯:৩৩/ ২০ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2IzxsbT
May 21, 2018 at 03:56AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top