ঢাকা, ২১ মে- তিনি আসবেন জানাই ছিল। তবে ঠিক কাল রাতেই চলে আসবেন, সেটা জানা ছিল না। যেহেতু আইপিএলে তার দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু প্লে-অফের আগেই বিদায় নিয়েছে, এ কারণে আগেই চলে এলেন। রোববার রাতেই ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান সাবেক অধিনায়ক এবং কোচ গ্যারি কারস্টেন। তিনি যে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছেন, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তা জানিয়েছেন আগেই। দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটের এ উজ্জ্বল নক্ষত্র আইপিএল শেষে ঢাকা আসবেন- সেটাও জানিয়েছিলেন বিসিবি বিগ বস। তারপরও তাকে নিয়ে অনেক কথা। নানা গুঞ্জন। জল্পনা-কল্পনার ফানুস বাতাসে ভাসছে- ঠিক কোন পরিচয়ে ঢাকায় এসেছেন কারস্টেন? তার পদবি কি? তিনি কি কাজ করবেন? নানা প্রশ্ন চারিদিকে। এসব প্রশ্নের জবাব মিলেছে অবশেষে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ওপেনার, ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কোচ গ্যারি কারস্টেন এমনি-এমনি আসেননি। তিনি এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যবস্থাপনা পরামর্শক বা টিম ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট। যতদূর জানা গেছে, বোর্ডের সঙ্গে তার কথা-বার্তা চূড়ান্ত। টিম ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সির জন্য কারস্টেন মোটা অংকর মাসোহারা পাবেন। তার সঙ্গে বিসিবির চুক্তিও হয়ে গেছে। একটি উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, গ্যারি কারস্টেন জাতীয় দলের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা, দল নির্বাচন, কোচিং ও জাতীয় দল সম্পৃক্ত আনুসাঙ্গিক বিষয়াদি নজরদারি করবেন। জানা গেছে, আইপিএল চলাকালিন তিনি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের সাথেও একান্তে বসে কথা বলেছেন। জানা গেছে, ঢাকায় আসার পর আজকের মধ্যেই বাংলাদেশ দলের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গেও আলাদা আলাদাভাবে কথা বলেছেন কারস্টেন। ওই তিন সিনিয়র হলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহীম। হোটেল সোনারগাঁওয়ে এই তিন ক্রিকেটার আলাদা আলাদাভাবে এসে কারস্টেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গেছেন। কাল রাতে ঢাকা পৌঁছার পর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে সরাসরি হোটেল প্যান প্যাসিফি সোনারগাঁওয়ে চলে যাওয়া কারস্টেন আজ বৃষ্টি ভেজা সকালের মধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আজ ও কাল ঢাকায় অবস্থান করবেন এবং পরশু (বুধবার) চলে যাবেন। এরপর আবার আসবেন কিছুদিন পর। তবে আজ ও কালের (সোমবার, মঙ্গলবার) মধ্যে তিনি জাতীয় দলের নির্বাচক, কোচ, কোচিং স্টাফ, ক্রিকেটার এবং সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে বসবেন। তাদের কাছ থেকে খুঁটিনাটি খোঁজ খবর নেবেন। এর বাইরে তিনি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান আকরাম খান এবং গেম ডেভোলপমেন্ট চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজনের সাথেও বসে কথা বলবেন। মোট কথা, জাতীয় দল এখন কি অবস্থায় আছে? জাতীয় দলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কেমন চলছে? পরিচর্যার কাজই বা কেমন হচ্ছে? দল নির্বাচন তথা ক্রিকেটার নির্বাচন প্রক্রিয়া কি, জাতীয় দলের পাইপ লাইন কেমন, গেম ডেভোলপমেন্ট প্রজেক্ট কি- এসব জানবেন। সব দেখে, জেনে ও শুনে তিনি একটি প্রতিবেদন বোর্ড সভাপতির কাছে পেশ করবেন। এর পাশাপাশি জাতীয় দলের হেড ও ব্যাটিং কোচ নিয়ে বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন এবং শীর্ষ কর্তাদের সাথেও বৈঠক করবেন তিনি। জানা গেছে, কারস্টেনের নিজের পছন্দের জনা তিনেক কোচ আছেন। পাশাপাশি বিসিবির কাছেও একটি শর্টলিস্ট আছে, তা নিয়ে উভয়ে পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে। আলাপ আলোচনার পর একজন হেড কোচ ও ব্যাটিং কোচের নাম চূড়ান্ত হবে। এবং ধারণা করা হচ্ছে আগামীকালের মধ্যেই হেড কোচ চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/১৭:১৪/২১ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2IWsaKU
May 21, 2018 at 11:22PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন