টাওয়ার হ্যামলেটস থেকে ২৪ বাঙালী কাউন্সিলার নির্বাচিত

গত ৩রা মে ইংল্যান্ডের স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশী অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলেও নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে ৪৫টি সিটে প্রায় দেড় শতাদিক বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত কাউন্সিলার প্রার্থী হন। নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ২৪জন বাংলাদেশী কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন বাদে বাকী ২৩জনই নির্বাচিত হয়েছেন লেবার পার্টি থেকে।

টাওয়ার হ্যামলেটসে দীর্ঘ এক দশক পর বিশাল বিজয় নিয়ে কাউন্সিল নেতৃত্বে এসেছে লেবার পার্টি। ৩রা মে’র স্থানীয় নির্বাচনে নির্বাহী মেয়র ছাড়াও মোট ৪৫টি কাউন্সিলার আসনের ৪২টি ছিনিয়ে এনেছে। এবারের নির্বাচনে সে সকল বাংলাদেশী নির্বাচিত হয়েছেন তারা হচ্ছেন বো ওয়েস্ট থেকে আসমা বেগম, ব্রোমলি নর্থ থেকে জেনিথ রাহমান, ব্রোমলি সাউথ থেকে হেলাল উদ্দিন,
মাইলএন্ড থেকে আসমা ইসলাম এবং পুরু মিয়া, পপলার থেকে সুফিয়া আলম, সেন্ট ডানস্টোনস থেকে আয়াস মিয়া ও ডিপা দাশ, বেথনালগ্রীণ থেকে সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আহ্বাব হোসাইন, ব্ল্যাকওযয়েল এন্ড কিউবিট টাউন থেকে ইহতেশাম হক এবং মোহাম্মদ ইকবাল মোর্শেদ পাপ্পু, ল্যান্সবারি থেকে কাহার চৌধুরী, মোহাম্মদ এইচএম হারুন, শেডওয়েল থেকে রাবিনা খান ও রুহুল আমিন, স্পিটাল ফিল্ড এন্ড বাংলা টাউন থেকে শাদ উদ্দিন চৌধুরী এবং লিমা ওমর কোরেশী, সেন্ট ক্যাথরিন এবং ওয়াপিং এ উল্লাহ, সেন্ট পিটার্স থেকে তারিক আহমদ খান, স্ট্যাপনি গ্রীন থেকে সাবিনা আক্তার ও মতিন উজ জামান, ওয়েভার্স থেকে আব্দুল মুকিত, হোয়াইটচ্যাপল থেকে ফারুক মাহফুজ আহমদ এবং কবি ও গীতিকার শাহ সোহেল আমিন

এদিকে লেবার প্রার্থী বর্তমান মেয়র জন বিগস ৪৪ হাজার ৮শ ৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাহী মেয়র পদে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী পিপলস এলায়েন্সের প্রার্থী রাবিনা খান পেয়েছেন মোট ১৩ হাজার ১শ ১৩ ভোট। মোট ২৭ হাজার ৯শ ৮৫ ভোটের ব্যবধানে রাবিনা খানকে পরাজিত করা জন বিগসের প্রথম পছন্দের ভোট ছিলো মোট ৩৭ হাজার ৬শ ১৯। দ্বিতীয় পছন্দের ভোট গননায় আরও ৭ হাজার ২শ ৪৬ ভোট পাওয়ায় মোট ৪৪ হাজার ৮শ ৬৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র নির্বাচিত হন জন বিগস।

বিগসের নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি পিপলস এলায়েন্সের প্রার্থী রাবিনা খান প্রথম পছন্দে ভোট পান ১৩ হাজার ১শ ১৩। দ্বিতীয় পছন্দের ভোট গননায় আরও ৩ হাজার ৮শ ৬৩ ভোট পাওয়ায় তার সর্বমোট ভোটের সংখ্যা দাড়ায় ১৬ হাজার ৮শ ৭৮ এ।

নির্বাচনে ১ লাখ ৯১ হাজার ২৪৬ ভোটারের মধ্যে ভোট প্রয়োগ করেন ৮০ হাজার ২৫২ ভোটার। এর মধ্যে পোস্টাল ভোট পড়েছে ১৯ হাজার ৮৩টি। কাষ্টিং ভোটের হার শতকরা ৪১.৯৬%।

মেয়র পদে প্রদত্ত ভোটের ৫১ শতাংশ এককভাবে ভোট কোনো প্রার্থী না পাওয়ায় প্রয়োজন হয় দ্বিতীয় পছন্দের ভোট গণনা। তবে প্রথম পছন্দের ভোটেই মূলত নির্বাচিত হয়ে যান মেয়র জন বিগস।

মেয়র পদে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান সমর্থিত এসপায়ার পার্টির প্রার্থী অহিদ আহমদ। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ১০৯ ভোট। আর কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী ডাক্তার আনোয়ার আলীর প্রাপ্ত ভোট মোট ৬ হাজার ১৪৯ ভোট।

এদিকে, কাউন্সিলার পদে দীর্ঘ এক দশক পর আবারও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিনিয়ে এনেছে লেবার পার্টি। মোট ৪৫ আসনের ৪২টিতেই জয়লাভ করেন লেবার প্রার্থীরা। বাকী ২টি পেয়েছেন কনজারভেটিভ ও ১টি পিপলস এলায়েন্স। সাবেক মেয়র লুৎফর সমর্থিত এসপায়ার এবং লিবডেমের কোন প্রার্থীই বিজয়ী হতে পারেননি।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস https://ift.tt/2jwvUEt

May 06, 2018 at 02:52PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top