ঢাকায় ঘরের ভেতরে মা ও দুই মেয়ের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

সুরমা টাইমস ডেস্ক :: ঢাকার মিরপুরে বাংলা কলেজের পাশে সরকারি কলোনির একটি বাসা থেকে এক নারী ও তার দুই শিশু সন্তানের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেসমিন আক্তার (৩৫) নামে ওই নারী দুই মেয়েকে গলাকেটে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ ধারণা করছে। নিহত শিশুরা হল হাফিদা তাসলিম হিমি (৯) ও আবিলা তাহমিম হানি (৬)। এমন খবর প্রকাশ করেছে বিডিনিউজ।

বদ্ধ ওই ঘরে শিশু দুটির লাশ ছিল বিছানায়; তাদের মায়ের লাশ পড়ে ছিল বিছানার পাশেই মেঝেতে। লাশ তিনটি উদ্ধারের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরিও পুলিশ উদ্ধার করেছে।

জেসমিন ঢাকার খামারবাড়িতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে চাকরি করতেন। তার স্বামী হাসিবুল ইসলাম চাকরি করেন সংসদ সচিবালয়ে। দুই মেয়ে ও স্বজনদের নিয়ে পাইকপাড়া ‘সি টাইপ কলোনি’তে থাকতেন তারা। জেসমিনের স্বামী পুলিশকে বলেছেন, তার স্ত্রী অসুস্থতা থেকে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বিকাল ৫টার দিকে জেসমিনের স্বামী হাসিব কর্মস্থল থেকে ফিরে তাদের শোবার ঘর ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। দুপুর ৩টার দিকে দুপুরের খাবার খেয়ে দুই মেয়েকে নিয়ে শোবার ঘরে ছিলেন জেসমিন। অন্য ঘরে জেসমিনের ভাইসহ অন্য স্বজনরা ছিলেন।

দারুস সালাম থানার ওসি মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, “হাসিবুল ফেরার পর অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঢুকে তিনজনের মৃতদেহ দেখতে পান।”

এরপর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে লাশ তিনটি উদ্ধার করে। ওসি সেলিমুজ্জামান বলেন, তিনজনেরই গলা কাটা এবং জেসমিনের গলার সঙ্গে পেটেও ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।

ঘটনাস্থল প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ কমিশনার মাসুদ আহমেদ বলেন, “যেখানে হত্যার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বাইরে থেকে এসে কোনো লোক দিয়ে ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম।”

পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃত করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “জেসমিন আক্তারের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, কিছুদিন আগে ভারত থেকে চিকিৎসা করিয়ে আনা হলেও কোনো উন্নতি হয়নি। পাশাপাশি একমাস আগে তার মা মারা যায়। এরপর সে আরও হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। সে সব সময় বলত, সে না থাকলে মেয়েদের কে দেখবে।”

মানসিক সমস্যা থেকে জেসমিন ২৫ দিন আগে মেয়েদের অতিরিক্ত ঘুমে বড়ি খাওয়াতে গিয়েছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানিয়েছে।

ওসি বলেন, “এক মেয়েকে খাওয়ানোর পর অন্য মেয়েকে খাওয়ানোর সময় পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে গিয়েছিল। যে মেয়েকে খাইয়েছিল, তাকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়।”সব মিলিয়ে এই মৃত্যুর ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস https://ift.tt/2Krv3kD

April 30, 2018 at 11:05PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top