কলকাতা, ১৪ মে- ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে সহিংসতায় বিভিন্ন এলাকায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। খবর ইন্ডিয়া টুডে। হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের ৬৬ শতাংশ গ্রামে সোমবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের শুরুতেই বিরোধীরা শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে। ভোটদানে বাধা, ব্যালট ছিনতাই, এজেন্টকে ঢুকতে বাধা, ব্যালটে জোর করে ভোট দেয়ার অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। এরই মধ্যে বোমা হামলাসহ অন্তত আট জেলায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছু জায়গায় ভোটাররা অভিযোগ করেছেন, ভোট দেয়ার জন্য তাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। আরও পড়ুন : মামা-ভাগ্নির অসম প্রেম! অতঃপর করুণ পরিণতি... মুর্শিদাবাদ ও কোচবিহারে ভোট দিতে বাধা দিতে গিয়ে নিহত হয়েছেন দুইজন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আমডাঙায় বোমা হামলায় এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কর্মীর। নদীয়ার শান্তিপুরে গণপিটুনিতে একজন এবং নাকাশিপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন তৃণমূলের এক কর্মী। নন্দীগ্রামের খোদামবাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন যজ্ঞেশ্বর ঘোষ ও অপু মান্না নামে দুইজন সিপিএম কর্মী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের নামখানায় রোববার রাতে এক সিপিএম কর্মীর বাড়িতে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। আগুনে সিপিএম কর্মী দেবু দাস ও তার স্ত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সিপিএম নির্বাচন কমিশনে এ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। নবম পঞ্চায়েত নির্বাচনে এ বার ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। এসব আসনের ওপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, ওই আসনে জয়ী হওয়া প্রার্থীদের গেজেট জারি করা যাবে না। আগামী জুলাইয়ে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির পর এ বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, এবার রাজ্যের পঞ্চায়েতের ৪৮ হাজার ৬৫০টি আসন, পঞ্চায়েত সমিতির ৯ হাজার ২১৭টি আসন ও জেলা পরিষদের ৮২৫টি আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পর এবার জেলা পরিষদের ৬২২টি, পঞ্চায়েত সমিতির ৬ হাজার ১৫৮টি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩১ হাজার ৮৩৬টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। এবারের এই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ১৮ শতাংশ বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সব মিলিয়ে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৮ হাজার ৬৪০টি। সূত্র: আরটিভি অনলাইন আর/১৭:১৪/১৪ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ICOYze
May 15, 2018 at 12:11AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন