ঢাকা, ১০ মে- চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের শেষ হচ্ছে না। এবার সালমান শাহর মরদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও ডোমকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিলেন আদালত। এ অনুমতির ফলে হায়দার আলী প্লাবো মেডিকেলের তৎকালীন চিকিৎসক (সালমানের ময়নাতদন্তকারী) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডোম রমেশ চন্দ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গেল ২৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস এ আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২০ আগস্ট নতুন করে দিন ধার্য করেছেন আদালত। এদিকে চিত্রনায়ক সালমান শাহ মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে আদালত পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে শুনে হতবাক সালমানের মরদেহের ময়নাতদন্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী তৎকালীন মরচুয়েরি এসিস্ট্যান্ট (ডোম) রমেশ চন্দ্র। বর্তমানে তিনি ধর্মান্তরিত সিকান্দার আলী। তিনি জিজ্ঞাসাবাদের খবর জানার পর বলেছিলেন, এত বছর আগের ঘটনা, এখন তো কিছুই মনে নাই। জিজ্ঞাসাবাদ করলে ময়নাতদন্তকারী ডাক্তারকে করা উচিত। কবে হবে সালমান শাহর ময়নাতদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ সেটি জানতে উন্মুখ ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক খ্যাত সালমানের ভক্ত-অনুরাগী। সেইসঙ্গে সালমানের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করতে এই জিজ্ঞাসাবাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে দ্রুত এই বিষয়ে অগ্রগতি চাইছেন সালমানের মা নীলা চৌধুরীসহ পরিবারের সদস্যরা এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী সামিরার পরিবারও। এদিকে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বাবুল আজ বৃহস্পতিবার বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই চিত্রনায়ক সালমান শাহর মরদহেরে ময়নাতদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেভাবে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ পাঠানোর হয়েছে। আশা করছি এই জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সালমান খুনের মামলায় বেশ অগ্রগতি আসবে। প্রসঙ্গত, ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) বিশেষ করে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অতি পরিচিত মুখ মধ্যবয়সী সিকান্দার আলী। আজ তিনি অনেক অভিজ্ঞ। কিন্তু ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহ যখন মারা যান তখন সিকান্দার আলী একেবারেই তরুণ। তখন তার নাম ছিল রমেশ চন্দ্র। সিকান্দার আলী বলেন, যতদূর মনে পড়ে তৎকালীন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ডা. তেজেন দাস ও ডা. বারি নামে দুজন চিকিৎসক সালমান শাহর ময়নাতদন্ত করেছিলেন। ওই সময় সেকান্দর আলী ময়নাতদন্ত কাজে চিকিৎসকদের সহায়তা করেছিলেন। তবে ২২ বছর আগে করা সেই ময়নাতদন্ত সম্পর্কে এখন আর তেমন কিছুই মনে নেই। সিকান্দার আলী জানান, তেজেন দাস ও বারি নামের ওই দুই ফরেনসিক মেডিসিনের চিকিৎসক বহু বছর আগেই চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন বলে জানেন। তারা এখন কোথায় আছেন জানেন না। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/০৭:১৪/১০ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2G3i3OR
May 10, 2018 at 11:48PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন