কলকাতা, ১৫ মে- বার বার হিংসা বন্ধ করার কথা বলা হলেও, নির্বাচনী হিংসা বজায় থাকল রাজ্যে। রাজ্য জুড়ে দাপাদাপি চালিয়েছে তৃণমূল। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। ভোটে হিংসার জন্য রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি, ভোটে মৃতদের বেশিরভাগই তৃণমূলের। বিরোধীরা সম্মিলিত ভাবে আক্রমণ চালিয়েছে তৃণমূলের ওপর। একদিকে উন্নয়ন দেখিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার চাপ তৃণমূলের, অপর দিকে এলাকা ভিত্তিক ক্ষমতা দখলের চেষ্টা বিরোধীদের। ফলে আদালত, কমিশন কিংবা সরকার নির্বাচনে হিংসা বন্ধে যদি কেউ কোনও চেষ্টা করে থাকেন, কোনও কিছুই কাজে আসেনি বলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ১)+২)ভোটে দিনের মৃত্যুর প্রথম খবর এসেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থেকে। সিপিএম-এর অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বুধাখালিতে ঘরে বন্ধ করে পুড়িয়ে মারা হয়েছে তাদের দলের দুই কর্মী স্বামী-স্ত্রী দেবু দাস ও তাঁর স্ত্রী ঊষা দাসের। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত অবশ্যই তৃণমূল। ৩) দক্ষিণ ২৪ পরগনারই কুলতলিতে গুলি-বোমায় খুন তৃণমূলের আরিফ আলি গাজি। তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকার এসইউসি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। ৪) মন্দিরবাজারের দাদপুরে নির্দল প্রার্থীর আত্মীয় গোকুল বৈদ্যের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে। ৫) পাশের জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় সারা দিন উত্তপ্ত ছিল। তবে মৃত্যুর মতো দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙায়। সিপিএম-এর অভিযোগ, ভোট দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূলের ছোঁড়া বোমায় মৃত্যু হয়েছে সিপিএম কর্মী তৈমুর গায়েনের। ৬) পাশের জেলা নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় বোমা-গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল সমর্থক ভোলা দফাদারের। এক্ষেত্রে অভিযোগের তির নির্দল সমর্থিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ৭) শান্তিপুরে বুথ দখলে গিয়ে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী সঞ্জিৎ প্রামাণিকের। এক্ষেত্রে অভিযোগের তির সম্মিলিত বিরোধীদের দিকে। ৮) নদিয়ার তেহট্টে মারধর করে ভোটার কৃষ্ণপদ সরকারকে খুনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৯) মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় ভোট দিতে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী তপন মণ্ডলের। এক্ষেত্রে অভিযোগর তির তৃণমূলের দিকে। ১০) মুর্শিদাবাদের নওদায় গুলিতে খুন নির্দল সমর্থক শাহিন শেখের। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত তৃণমূল। ১১) দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডিতে বিশু টুডু নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে। দুদলেরই দাবি, মৃত ব্যক্তি তাদের সমর্থক ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে দাবি, মৃত ব্যক্তি ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির সমর্থক ছিলেন। ১২) দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে তৃণমূল সমর্থক মইনুল মণ্ডলের দেহ উদ্ধার। অভিযোগ বিরোধীদের দিকে। ১৩) রায়গঞ্জে গুলিতে মৃত্যু তৃণমূল কর্মী অমিত সাহার। বুথের কাছেই দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত কংগ্রেস। ১৪) কোচবিহারের গোপালপুরের খামারটারিতে মৃত্যু হয়েছে প্রৌঢ় দুলাল ভৌমিকের। ছাপ্পা দেওয়া নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন চিনি। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। ১৫) +১৬) নন্দীগ্রাম ২নম্বর ব্লকে ভোট দিতে যাওয়া সিপিএম সমর্থক অপু মান্না ও প্রৌঢ় যজ্ঞেশ্বর ঘোষের মৃত্যু হয়েছে বোমা গুলিতে। অভিযুক্ত তৃণমূল। আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত ১০ তথ্যসূত্র: bengali.oneindia আরএস/০৯:০০/ ১৫ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2KpMPUu
May 15, 2018 at 05:03PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top