রিয়াল মাদ্রিদে যখন কোচ হয়ে এসেছিলেন, তখন ক্লাবের অবস্থা টালমাটাল। এর আগেই গিয়েছে ট্রফিহীন মৌসুম এবং সে মৌসুমের মাঝপথেই কোচ তাফা বেনিতেজকে বহিষ্কার করা হয়। ক্লাবের এমনই দুঃসময়ে প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব তুলে দিলেন নিজেদেরই সাবেক খেলোয়াড় জিনেদিন জিদানের হাতে। কেবল রিয়াল মাদ্রিদের যুব দলের কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে মূল দলে কতটুকু কি করতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহবাদী ছিলেন সমালোচকরা। তবে খেলোয়াড়ি জীবনের সাফল্য নিজের কোচিং ক্যারিয়ারে আনতে যেন কষ্টই হয়নি জিদানের। ফরাসি কিংবদন্তি দলের দায়িত্ব নিয়েই অগোছালো আর বিশৃঙ্খল ড্রেসিংরুমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন। মাত্র ছয় মাসেই রিয়ালকে জিতিয়ে দেন ১১ তম চ্যাম্পিয়নস লিগ। চ্যাম্পিয়নস লিগে সেই যে রাজত্ব শুরু এরপর আর থামেননি তিনি। আধুনিক চ্যাম্পিয়নস লিগ যুগে প্রথম কোন কোচ হিসেবে জিদান জিতেছেন টানা তিনটি ট্রফি। আধুনিক চ্যাম্পিয়নস লিগ তো বটে, পুরো চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসেই কার্লো অানচেলোত্তি, বব পেইসলি আর জিদান ছাড়া কারোর তিনটির বেশি ট্রফি জেতার রেকর্ড নেই। লা লিগাতেও চার মৌসুম পর রিয়াল মাদ্রিদকে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন জিদান। সে মৌসুমে আরো একটি অনন্য রেকর্ড করেন রোনালদোদের সদ্য বিদায়ী কোচ। সে মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ তার অধীনে সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৪০ ম্যাচ অপরাজিত ছিলো, যা ইউরোপিয়ান কোনো ক্লাবের জন্য রেকর্ড। এছাড়া মাত্র আড়াই বছরেই রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জিদান জিতে নিয়েছিলেন নয়টি ট্রফি, যা ক্লাবটির ইতিহাসে কোনো কোচের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রথম স্থানে আছেন মিগুয়েল মুনোজ। তিনি জিতেছিলেন ১৪ টি ট্রফি। তবে এজন্য তিনি সময় নিয়েছিলেন ১৪ বছর। জিদান ছিলেন আড়াই বছর। আড়াই বছরে জিদান রিয়ালের ডাগ আউটে দাঁড়িয়েছেন ১৪৯ বার। যার মাঝে জয় ছিলো ১০৪ টি। অর্থাৎ কোচ হিসেবে ৬৯.৮ শতাংশ ম্যাচই জিতেছেন তিনি। এমন একজন কোচ হঠাৎ এভাবে বিদায় বলবেন, নিশ্চয়ই কল্পনাও করতে পারেননি সমর্থকরা। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/১০:১৪/৩১ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2LKD1pI
June 01, 2018 at 05:02AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন