আড়াই বছর বয়সে প্রথম স্টেজে উঠি- নাচ নিয়ে। এরপর গান, আবৃত্তি, অভিনয়... অবশেষে টেলিভিশন নাটক পরিচালনা... সিনেমা নির্মাণ... এসব কোনো কিছুতেই আমার মাকে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট করতে পারিনি। আমার নাচ আম্মুর কাছে ঠিকঠাক (মোটামুটি হবে হয়তো) লাগতো। গান নিয়ে খালি ভুল ধরতেন- কোন শব্দের উচ্চারণ কি, অর্থ কি এবং সেই অর্থ অনুযায়ী কণ্ঠে কি ধরনের আবেগ থাকা দরকার এসব বিষয় সুক্ষভাবে বুঝিয়ে দিতেন। আমার কোনো গান (এমনকি যদি মন কাঁদে) শুনে তার মুখে নির্ভেজাল প্রশংসা শুনিনি কোনোদিন। আর অভিনয়..! সে তো কেবল কি করলে আরো ভালো হবে এই ব্যাখ্যা শুনে শুনে আমার রাত পার হতো। আরও পড়ুন: ঢালিউডের আম্মু নায়িকারা গত ২৭ এপ্রিল শুক্রবার আমার কনিষ্ঠ পুত্র ঘ্যাংগা বাবা নিনিত হুমায়ূন তার স্কুল Sunbeams এর বাৎসরিক অনুষ্ঠানে গান গাইলেন, নাচলেন, নাটকের (পুত্রের ভাষায় উহা নাকি প্লে) একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ও করলেন। দর্শক সারিতে বসা আমি কঠিন সমালোচক মাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হবার জোর চেষ্টা চালালাম। কিন্তু পুত্রধনকে এক আলগা গাম্ভীর্য নিয়ে স্টেজে উঠতে দেখামাত্রই আমি একেবারে শেষষষ হয়ে গেলাম... তার গানের সাথে গলা মিলিয়ে হেড়ে গলায় গাইলাম, তার নাচের তালে তাল মিলিয়ে চললাম, তার অসাধারণ অভিনয়ে খিলখিলিয়ে হেসে উঠলাম... হৃদয়ের কোথায় যেন একটা চিনচিনে ব্যথাময় আনন্দ অনুভূত হতে লাগলো... নাহ... আমি মনে হয় খুব ক্ষ্যাত একখান মা... (লেখিকার ফেসবুক থেকে সংগৃহীত) সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন আর/০৭:১৪/০৩ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2JR9vgu
May 03, 2018 at 03:15PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন