পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ। একসময়কার সাড়া জাগানো অভিনেত্রী তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন একাধারে অভিনেত্রী, উপস্থাপক ও সাংবাদিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তাজিন আহমেদ। লেখালেখিতেও তার ছিল বেশ দক্ষতা। তাজিন আহমেদের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে নানা কথাই রটছে। কেউ বলছেন আর্থিক অনটনে কষ্ট করতে করতে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও ডিভোর্স হয়েছে তার। কোথাও বলা হচ্ছে তার মা কোন এক বৃদ্ধাশ্রমে আছেন কোথাও বলা হচ্ছে কাশিমপুর কারাগারে আছেন। গত তিন বছর ধরে তাজিন আহমেদের দেখভাল করেছেন মেকাপ আর্টিস্ট মিহির মহন। দু:খের সময়টা তিনিই পাশে থেকেছেন। তাজিন আহমেদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কিছুদিন সর্বদা পাশে থেকেছেন অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু। সম্প্রতি পত্রপত্রিকাতে নানা রঙ্গ মাখিয়ে তাজিন আহমেদের নামে খবর প্রকাশ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে লাইভে আসেন হুমাইরা হিমু। সেখানেই তিনি জানান, অধিকাংশ পত্রিকায় তাজিন আপুনিকে নিয়ে মিথ্যে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এখন মিডিয়ার অনেক মানুষ তাজিন আপুর বন্ধু দাবী করে নানা রকম কথা বলছেন। কিন্তু তিনি জিবিত থাকা অবস্থায় কেউ তার খবর রাখেনি।আর যে দাড়িয়েছে সর্বদা তার সাথে থেকেছেন তিনি মেকাপ আর্টিস্ট মিহির মহন। অথচ কোথাও কেউ তার নামটিও বলছেন না। কেন রে ভাই তারও তো একটা নাম আছে! এই মিহির মহন শোবিজের অনেক সেলিব্রেটি তারকাদেরই মেকাপ করে দিয়েছেন। তাকে নিজের ছেলের মতো করেই দেখতেন তাজিন। হুমাইরা হিমুর লাইভে তাকেও নিয়ে আসা হয়। তিনিই বেশ কিছু বিষয় খোলাসা করে জানান। মৃত্যুর দিন সকাল থেকে তাকে কীভাবে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, কীভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন, শেষের সময়টা তার কীভাবে কেটেছে সেটাও বলেছেন তিনি। মিহির মহন জানান, অনেকেই বলছেন দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও তাজিন আপুর ডিভোর্স হয়েছে। এটা মিথ্যা কথা। তাজিন আপু তাকে খুব ভালোবাসতেন। তার জন্য তিনি অনেক কষ্ট করেছেন। ছন্দ নামের এক গায়িকার সঙ্গে দুলা ভাইয়ের পরকিয়া ছিল। ওই মেয়েটি যখন দুলা ভাইয়ের নামে মামলা করেছিল তখন আপু দুলাভাইকে বাচাতে সিলেট আমার বোনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিল। দুলা ভাইয়েরে এমন কাজের পরই আপুনি তাকে খুব ভালোবাতেন। তার জন্যই তিনি আরও অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার এ সময়টা অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম ও রোজী সিদ্দিকী দম্পত্তি বেশ পাশে ছিলেন বলেও জানান মিহির। তাজিনের সঙ্গে তার দ্বিতীয় স্বামীর ডিভোর্স হয়নি। তবে সম্পর্ক ভালো ছিল না। মৃত্যুর দিন সকালেও তাজিন তার স্বামীকে বারবার ফোন দিতে বলেছিলেন। কিন্তু মহন বারবার ফোন করেও তাকে পায়নি। তাজিনের নাম্বার সে ব্লক করে রেখেছিল বলেই জানান মিহির মহন। সূত্র: যুগান্তর আর/০৭:১৪/২৬ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2LvpCBR
May 26, 2018 at 03:30PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top