টরন্টো, ৮ জুন- অন্টারিওর প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে স্কারবারো সাউথওয়েস্ট আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশদ্ভূত এনডিপি থেকে মনোনীত প্রার্থী ডলি বেগম। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় এবং ঐ রাতেই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ডলি বেগম ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৪২ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রগ্রেসিভ কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা গ্রে এলিস পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৭১ ভোট। স্থানীয় টিভি চ্যানেলে ডলির এ বিজয় ঘোষণার পর টরন্টোর বাংলাদেশ কমিউনিটিতে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। অনেকেই ডলির বাড়িতে এবং অফিসে শুভেচ্ছা জানাতে ছুটে আসেন। এদিকে টিম ডলির সদস্যরা স্থানীয় একটি হলে তাৎক্ষণিকভাবে এক বিজয় উৎসবের আয়োজন করে। ফলাফল ঘোষণার পরপর কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা ছুটে আসেন এ বিজয় উৎসবে। ডলির এ ঐতিহাসিক বিজয়কে বাংলাদেশের বিজয় বলে উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দরা। উৎসবের মঞ্চে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডলি বেগম বলেন, এ বিজয় আমাদের সকলের। এ সময় তার সাথে ছিলেন তার বাবা, মা, ভাই ও টিম ডলির সদস্যবৃন্দ। ডলির জন্ম বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলায়। ১১ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি কানাডায় আসেন। কানাডায় এসে জীবনের চরম বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় পড়লে অনেক বছর হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। ২০১২ সালে ডলি টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৫ সালে উন্নয়ন প্রশাসনে মাস্টার্স করেন টরেন্টো ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে। পড়ালেখা শেষ করে সিটি অব টরেন্টোতে প্রায় ১০ মাস কাজ করেন। গত এপ্রিল পর্যন্ত রিচার্স অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করেন দ্য সোসাইটি অব অ্যানার্জি প্রফেশনান্সে। ডলি প্রদেশের কিপ হাইড্রো পাবলিক ক্যাম্পেনের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। স্কারবারো স্বাস্থ্য জোটের সহসভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া ওয়ারডেন উডস কমিউনিটি সেন্টারের উপপ্রধান তিনি। এদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এলিস পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার পর অবসর নিয়েছেন। টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করা এলিসও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। গত ১৫ বছর ধরে স্কারবারো সাউথওয়েস্ট লিবারেলদের দখলে ছিল। এবারের নির্বাচনে লিবারেল প্রার্থী বেরারডেনিট্টি আট হাজার ২১৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। আইনজীবী বেরারডিনেট্টি ৩০ বছর ধরে স্কারবারোতে রাজনীতি করছেন। এর আগে তিনি স্কারবারো সিটি কাউন্সিলেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে ড্যান নিউম্যানকে হারিয়ে তিনি প্রাদেশিক পার্লামেন্টের সদস্য (এমপিপি) হন। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ডলি বেগমের কাছে পরাজয়ের আগ পর্যন্ত তিনি সেখানকার এমপিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2JjQEP7
June 08, 2018 at 08:02PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন