মোঃ আবুল কাশেম,বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ সড়কের বেহাল দশা দেখে ছেলে-বুড়ো সকলেই যেন একসঙ্গে বলতে চায় “মনোওয় ই রাস্তার কোনো মাই-বাপ নাই এর লাগিই অতবাদ অবস্থা”। উপজেলার প্রায় সব’কটি সড়কে অগণন গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এসব সড়কের পিচঢালা উঠে ভরে গেছে খানা-খন্দে। বেশকিছু জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গর্ত। যান চলাচলে দেখা দিয়েছে মারাত্মক ঝুঁকি। মাঝে-মধ্যে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে তৈরী করছে নানা প্রতিবন্ধকতার। সময় বাড়িয়েছে যাতায়াতের। এতে করে সড়কগুলো দিয়ে চলাচলকারী গাড়ীচালক, যাত্রী, রোগী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল পথচারীদেরও প্রতিনিয়ত পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
সরজমিন উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কের পশ্চিম চান্দশীরকাপন এলাকার মোড়, বাউসী কালভার্ট যাওয়ার পূর্বের অংশ ও মিয়ারবাজার প্রবেশমুখ অংশ, বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়ক, বিশ্বনাথ-হাবড়া সড়ক, বিশ্বনাথ নাজিরবাজার-পূর্ব শ্বাসরাম সড়ক, রামপাশা-রাজাগঞ্জ বাজার সড়কের পিচঢালা উঠে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোটবড় গর্তের। দীর্ঘদিন ধরে এসব সড়কে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ বাড়লেও সড়ক সংস্কারে অনেকটাই উদাসীন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যার ফলে, জনমনে বাড়ছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ।
বিশ্বনাথ মানবাধিকার সংস্থার সদস্য মাছুম আহমেদ বলেন, সড়কগুলি দ্রুত সংস্কার করে উপজেলাবাসীর দুর্ভোগ লাঘব জরুরি। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে শিগগিরই উদ্যোগ নেবেন।
সিলেট-জগন্নাথপুর বাস সমিতির সভাপতি, শ্রমিক নেতা ফজর আলী বলেন, সড়কে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, এতে যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। অচিরেই সড়ক সংস্কারে ব্যবস্থা না নিলে শ্রমিক ধর্মঘটের ডাক দেয়া হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মুক্তিযোদ্ধা এমকে আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, চলতি অর্থবছর প্রায় শেষ। তাই এবছর সংস্কার সম্ভব নয়। আগামী অর্থবছরে এর স্কীম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে পাঠানো হবে। সেটি অনুমোদন পেলেই সংস্কার করা হবে।
এ বিষয়ে কথা হলে সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়া সাংবাদিকদের বলেন, কিছু সড়কের জন্যে ডিও লেটার পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2K9RfT1
June 21, 2018 at 10:23PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন