দেরাদুন, ০৬ জুন- প্রথম ম্যাচে হেরেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল টাইগাররা। তাই সিরিজ বাঁচাতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না। কিন্তু জয় তো দূরে থাক সিরিজ হেরেই বসলো তারা। এখন শঙ্কায় থাকা ধবল ধোলাই না হয়ে যায় আফগানদের কাছে। প্রথম ম্যাচে পরে ব্যাটিং করে পরাজয় এবার আগে ব্যাটিং করে পরাজয়। মঙ্গলবার দেরাদুনের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুতেই শাপুর জারদানের করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে রশিদ খানের তালুবন্দি হন আগের ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা লিটন দাস (১)। দলীয় ৩০ রানে তিন নম্বরে প্রমোশন পাওয়া সাব্বির উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন নবিকে। ৯ বলে ১৩ রান করে ধরা পড়েন সামিউল্লাহ শেনওয়ারির হাতে। এরপর তামিমের সঙ্গে জুটি গড়েন মুশফিক। নবীর দ্বিতীয় শিকার হয়ে মুশফিক (২২) ফিরলে ভাঙে ৩১ বলে ৪৫ রানের জুটি। নবিকে ছক্কা মেরে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু ১৪ রান করে করিম জানাতের শিকার হন তিনি। অধিনায়ক সাকিব ৬ নম্বরে নেমে কিছুই করতে পারেননি। আতংক হয়ে থাকা রশিদ খানের ঘূর্ণিতে ফিরেন ৩ রানে। দলের রান তখন ১০১। চতুর্থ বলে ৪৮ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা তামিম ইকবালকে বোল্ড করেন রশিদ। তার পঞ্চম বলে ডাক মেরে ফেরেন মোসাদ্দেক। রশিদ প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৯ রান দেয়ার পর তৃতীয় ওভারে উইকেট নিতে শুরু করেন। এই স্পিন জাদুকরের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন সৌম্য সরকার। ৭ নম্বরে নেমে ৯ বলে ৩ রান করা সৌম্য আসগর স্তানিকজাইয়ের হাতে ক্যাচ দেন। শেষ দিকে পেসার আবু হায়দার রনি ব্যাট চালিয়ে খেলে ১৪ বলে ১ চার ২ ছক্কায় ২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৪ রান তোলে বাংলাদেশ। আফগানদের পক্ষে রশিদ খান ৪টি, মোহাম্মদ নবী ২টি, করিম জানাত ও শাপুর জারদান ১টি করে উইকেট লাভ করেন। ১৩৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ৩৮ রানে মোহাম্মদ শাহজাদকে এলবির ফাঁদে ফেলেন আবু হায়দার রনি। এরপর ১১তম ওভারে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ বানিয়ে উসমান ঘানিকে ফেরান রুবেল হোসেন। উসমান করেন ২১ রান। ১৪তম ওভারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে স্ট্যাম্পিং হন আসগর স্তানিকজাই। ১৮তম ওভারে সামিউল্লাহ শেনওয়ারিকে বোল্ড করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে হারিয়ে আফগানিস্তানের ইতিহাস শেষ ২ ওভারে ২০ রান প্রয়োজন পড়ে আফগানদের। হাতে ৬ উইকেট। দুর্দান্ত কিছু করে টাইগার বোলাররা কি ম্যাচটা নিজেদের করতে পারবেন। অতি আশাবাদীদের কেউ কেউ হয়তো এই স্বপ্ন দেখছিলেন। কিন্তু রুবেল হোসেনের ১৯তম ওভারেই ২০ রান তোলেন নবী। প্রথম বলে চারের পর দ্বিতীয় বলে ছক্কা। এক বল বিরতি দিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ বলে চার ও ছক্কা। তাতে আফগানদের জয়টাকে দাপুটেই তো আখ্যা দিতে হয়। মোহাম্মদ নবী শেষটা রাঙালেও জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের জন্য জুজু হয়ে থাকা রশিদ খান। প্রথম ম্যাচে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। আজ গুনে গুনে নিয়েছেন ৪টি। কোনোভাবেই রশিদ খান জুজু তাড়াতে পারছে না বাংলাদেশ শিবির। অনবদ্য বোলিংয়ের জন্য প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হন রশিদ খান। প্রথম ম্যাচের পরাজয়ে কোনও লড়াই করতে না পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াই করেছে সাকিবের দল। ৭ জুন একই মাঠে শেষ ম্যাচ। আর বাংলাদেশের জন্য তৈরি হলো ধবল ধোলাইয়ের শঙ্কা! তথ্যসূত্র: আরটিভি অনলাইন আরএস/০৯:০০/ ০৬ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2kQAYnL
June 06, 2018 at 03:30PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top