কলকাতা, ২৬ জুন- বিবাহ বিচ্ছেদে খোরপোশ মামলায় মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে হাজিরা দিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলায় মক্কেলের হয়ে দাবি পেশ করেন রত্না চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। সকাল সাড়ে দশটা থেকে প্রায় একঘন্টা তাঁরা আদালত কক্ষে ছিলেন। মাসে তাঁকে দেড় লক্ষ টাকা করে খোরপোশ দিতে হবে। সঙ্গে মেয়ের পড়াশোনার যাবতীয় খরচও দিতে হবে। বিবাহ বিচ্ছেদের খোরপোশ মামলায় এমনটাই দাবি জানালেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালে আদালত খোলার পর শুরুতেই এই মামলার শুনানি হয়। বান্ধবী বৈশাথী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েই আদালতে হাজিরা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের প্রমাণ এদিন আদালতে জমা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন বারবারই মেয়রের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈশাখী বলেছিলেন, তিনি ও তার পরিবার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত বন্ধু। পরিবেশ দফতর থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ার পর, সেই দফতরের কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন বৈশাখী। এপ্রিলে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। অসুস্থতার জন্য চিকিৎসক তাঁকে বিশ্রাম নিয়ে বলেছেন, আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিলেন মেয়র। স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় রাজি না থাকলেও, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বিবাহ বিচ্ছেদে অনড় ছিলেন। দু-দুবার আপসে মামলা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছিলেন বিচারক। সেই সময় দুজনকে আদালতে হাজিরার জন্য বিচারক বললেও হাজির হননি মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে, রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আইন তাঁর কাছে বড়। বান্ধবীকে নিয়েই আদালতে হাজিরা শোভনের! খোরপোশে যা দাবি করলেন রত্না এপ্রিলেই একাধিকবার শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায় একে অপরের বিরুদ্ধে পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়া, কিংবা নজরদারি চালানোয় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। মেয়র পত্নী বাড়িতে বাউন্সার নিয়োগ নিয়ে পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ করেছিলেন। এর আগে পর্ণশ্রী থানায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। পর্ণশ্রীর মহারানি ইন্দিরা দত্ত রোডের বাড়ির নিরাপত্তায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করেছিলেন মেয়র। বাড়িতে ঢোকার সময় যে কাউকে খাতায় নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন মেয়র। মেয়রের অভিযোগ ছিল, পৈতৃক বাড়িতে তার বহু সম্পত্তি রয়েছে। এমন কী মামলার নথিও রয়েছে। সেসব নথি ও সম্পত্তি হাতানোর আশঙ্কাও করেছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সব কিছুর পিছনেই তাঁর স্ত্রী। এমনটাই অভিযোগ ছিল মেয়রের। মে মাসের শেষের দিকে গোলপার্কের ফোর্ট লিজেন্ডের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। দাবি, ছিল মেয়ের ভিসার কাগজে সই। যদিও মেয়রের দাবি করেন তিনি অসুস্থ। আর তাকে দিয়ে ভুয়ো কাগজে সই করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাল্টা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। পরে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সেখান থেকে সরানো হয়। এমএ/ ০৩:১১/ ২৬ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ly9Ie9
June 26, 2018 at 09:25PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন