ঈদ মানেই অন্যরকম আনন্দ। সাধারণ মানুষের মতো বলিউড তারকাদেরও ঈদ নিয়ে কিছু না কিছু স্মৃতি মনে রয়েছে। এরমধ্যে কিছু স্মৃতি আলাদাভাবে মনে পড়ে ঈদ এলে। বলিউড তারকাদের সেই স্মৃতি নিয়ে আজকের এই আয়োজন। আরবাজ খান কাজ নিয়ে শত ব্যস্ততা থাকলেও প্রতিটি ঈদ পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করেন আরবাজ খান। ঈদের স্মৃতি মনে করে এক সাক্ষাৎকারে বলিউডের এই অভিনেতা বলেছিলেন, আমি কখনও দেখিনি ঈদে আমাদের বাড়িতে কাউকে দাওয়াত দেওয়া হতো। কেননা ওইদিন সবাই নিজ থেকেই আসতো এবং আমাদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে। নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। সাত ভাইকে নিয়েই কাটতো মাঝিখ্যাত এই তারকার ঈদ। ঈদের স্মৃতি মনে করে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী বলেন, ঈদে মা সবসময় আমাদের সাত ভাইকে একই রকমের কাপড় দিয়ে নিজে হাতে পোশাক বানিয়ে দিতেন। এরপর আমরা ভাইয়েরা মিলে নামাজ পড়তে যেতাম। সেখান থেকে ফিরে আত্মীয়দের বাড়িতে যেতাম। যোগ করে নওয়াজুদ্দিন আরও বলেন, আমাদের বড় একটি পরিবার ছিলো। মজার বিষয় হলো- আমরা সবাই একই রকমের পোশাক পরতাম। ছবি তোলার জন্যও একই রকম পোজ দিতাম। দেখে মনে হতো সেনা সদস্যদের একটি দল। ফারাহ খান ছোট বেলার ঈদের কথা মনে পড়লে ভীষণ নস্টালজিয়ায় ভোগেন নির্মাতা ও নৃত্যপরিচালক ফারাহ খান। ঈদের স্মৃতি নিয়ে তিনি বলেন, আমার দাদী ঈদের আগের দিন বিরিয়ানি রান্না করতেন। সেই বিরিয়ানি তিন থেকে চারবার খেতাম। তার হাতের সেই বিরিয়ানি এখনও মিস করি, যেনো তার হাতের স্বাদ, তার সেই ভালোবাসা এখনও আমাদের শরীরে মিশে আছে। ইমরান খান আমির খানের ভাগিনা ইমরান খান। ১৯৮৮ সালে কেয়ামত সে কেয়ামত তাক ছবিতে আমির খানের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বলিউড অভিষেক হয় ইমরানের। পরে ২০০৮ সালে জানে তু ইয়া জানে না ছবির মাধ্যমে তিনি নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তবে ক্যারিয়ারকে পুরোপুরি মামা আমিরের মতো সাজাতে না পারলেও মামার মতো ব্যক্তিত্বকেই ধারণ করছেন ইমরান। তাই মামার সঙ্গে ঈদ কাটানো তার কাছে বিশাল একটা চাওয়া। দুজনের কেউ যদি শুটিংয়ে না থাকেন, তবে ঈদ হবে মামার সঙ্গেই। সোহা আলি খান মুম্বাইতে থাকেন সোহা। কিন্তু খুবই কম সময় তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকতে পারেন। স্মৃতি হাতড়ে সোহা বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম, সে সময়ের ঈদের দিন খুব সকালে উঠে নতুন জামা-কাপড় পরে বাড়ির বড়দের সালাম করতাম। তারা আমাকে ঈদি দিতেন। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে চোখে পানি চলে আসে। ঈদি পেতাম রঙিন সব খামের ভেতরে। সব খামেই থাকতো নতুন ১০ কিংবা ২০ রুপির কয়েকটি চকচকে নোট। সেমাই খেতাম, কাবাব খেতাম, আর খেতাম খাসির রেজালা দিয়ে পোলাও। আলি ফজল এই অভিনেতা ঈদের স্মৃতি মনে করে বলেন, ছোট বেলায় ঈদের সময় লখনৌর চকে ঘুরে বেড়াতাম। আমাদের মহল্লার বাড়িগুলো যেতাম। সেখানে গিয়ে সালাম করতাম, খাবার খেতাম। এমএ/ ০৩:২২/ ০৯ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2sGU6Ju
June 09, 2018 at 09:55PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top