ঢাকা, ১১ জুন- ক্রিকেটে বাংলাদেশকে প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা এনে দিয়েছে মেয়েরা। নারীদের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ প্রথমবার ফাইনালে উঠে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় তারা। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এটি বিরাট বড় অর্জন। এই অর্জনে আমূল বদলে গেছে দৃশ্যপট। কুয়ালালামপুরে নারী এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশের মেয়েদের নিয়ে সর্বত্র এখন হইচই।এতোদিন দেশের নারী ক্রিকেটাররা ছিল উপেক্ষিত, পুরুষ ক্রিকেটার তুলনায় তাদের বেতন দেওয়া হতো পঞ্চাশ ভাগের একভাগ।হতদরিদ্র অবস্থায় দিন কাটানো নারী ক্রিকেটারদের বেতন বৃদ্ধি এখন সময়ের ব্যাপার। ইতোমধ্যে বিসিবির পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, সোমবার এ নিয়ে বৈঠকের পরই নারী ক্রিকেটারদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে ইএসপিএনকে বিসিবির চিফ এক্সিকিউটিভ নিজামুদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, এশিয়া কাপে এই জয় বাংলাদেশে নারী ক্রিকেটের উন্নয়নে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। নারীদের নিয়ে এখন বোর্ডকে আলাদাভাবে ভাবতে হবে। তিনি জানান, বর্তমানে নারী দলের স্পন্সরশিপ জাতীয় দলের সাথে মিলিয়ে করা। কিন্তু এখন থেকে নারীদের জন্য আলাদা স্পন্সরশিপের চিন্তা করবে বিসিবি। এখন তাদের নিজেদের পরিচিতি, এবং স্পন্সর আকর্ষণ করার সক্ষমতা হয়ে গেছে, বললেন নিজামুদ্দিন চৌধুরী। তিনিই জানিয়েছেন, আগামীকালের বোর্ড মিটিংয়ে নারীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। বর্তমানে ১৭ জন নারী ক্রিকেটার বিসিবির সাথে চুক্তিবদ্ধ আছেন বেতনধারী হিসেবে। তাদের বেতন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা। ছেলেদের ক্ষেত্রে এই অংক সর্বনিম্ন লাখের কোটায়। ছেলেদের জাতীয় লিগে প্রথম স্তরে ম্যাচ ফি ২৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্তরে ২০ হাজার। বিসিএলে ম্যাচ ফি ৫০ হাজার টাকা। মেয়েদের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ ফি ৬০০ টাকা মাত্র! আজকের ফাইনালে টান টান উত্তেজনাকর খেলায় বাংলাদেশ নারীদল ভারতকে হারায়। ভারতের দেয়া ১১৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার কোয়ালালামপুরের কিনরারা একাডেমি ওভালে শুরু থেকে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন তিন স্পিনার নাহিদা-সালমা আর খাদিজাতুল কুবরা। দলীয় ১১ রানে নাহিদার দূর্দান্ত থ্রুতে রান আউটে কাটা পড়েন ওপেনার স্মৃতি। এরপর ৪ রান করা দীপ্তি শর্মাকে বোল্ড করেন পেসার জাহানারা আলম। থিঁতু হওয়ার আগেই আরেক ওপেনার মিতালি রাজকে তুলে নেন খাদিজাতুল কুবরা। সুবিধা করতে পারেননি আনুজা পাতিল। ফিল্ডিংয়ে বাঁধা দেয়ার কারণে আউট হন তিনি। ভারতের স্কোর তখন ৩২ রান। এরপর ১১ রান করা বিদ্যাকে বোল্ড করেন অধিনায়ক সালমা। আর রুমানা আহমেদের জোড়া আঘাতে ৭ উইকেটে ৭৪ রানের দলে পরিণত হয় ভারত। এরপর ঝুলন গোস্বামীকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন হারমানপ্রীত। ১০ করে ঝুলন ফিরলেও অন্যপ্রান্তে অবিচল ছিলেন হারমানপ্রীত। ইনিংসের শেষ বলে ৫৬ রানে ভারতের এই অধিনায়ককে ২য় শিকারে পরিণত করেন খাদিজা। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে ভালো সূচনা করেন ২ ওপেনার শামিমা আর আয়শা। ৩৫ রানে পরপর এই ২ ওপেনারকে বিদায় করে ভারতকে ব্রেকথ্রু এনে দেন পুনম। শেষ পর্যন্ত নারী এশিয়া কাপ ফাইনাল ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে সংগ্রহ ১১২ রান করে ভারত। সূত্র: পূর্বপশ্চিম এমএ/ ০২:০০/ ১১ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2LHliih
June 11, 2018 at 08:08AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন