মুজাফ্ফরনগার, ১১ জুনঃ হিতেশ কুমারের বয়স তখন ছিল মাত্র ৬ বছর। কারগিল যুদ্ধে রাজপুতানা রাইফেলসের সেকেন্ট ব্যটেলিয়নের হয়ে যেখানে গিয়েছিলেন বচন সিং। ১৯৯৯ সালের ১২ জুন রাতে টোলোলিংয়ে শহিদ হয়েছিলেন হিতেশ কুমারের বাবা বচন সিং। এই খবর শোনার পরই ঠিক করে নিয়েছিলেন তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন।
প্রায় ১৯ বছর পর দেরাদুনের ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি থেকে পাশ করে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পেয়ে সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন হিতেশ।
শুধু সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়াই নয়, বাবা বচন সিং-এর মত হীতেশও রাজপুতানা রাইফেলস-এর সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নেরই লেফটেন্যান্ট হিসেবে কাজে যোগ দিতে চলেছেন হিতেশ। মুজাফ্ফর নগরের সিভিল লাইনে বচন সিং-এর একটি স্মৃতিফলক রয়েছে। মিলিটারি অ্যাকাডেমির পাশ করার প্যারেড সেরেই হীতেশ বাবার স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন।
স্বপ্নপূরণের পর হীতেশ জানান, ‘গত ১৯ বছর ধরে আমি এই স্বপ্নটাই দেখে এসেছি। আমার মায়েরও এটাই স্বপ্ন ছিল। এবার আমি সততা ও গর্বের সঙ্গে দেশের সেবা করব। হীতেশের এই সাফল্যে তাঁর মা কামেশবালা অত্যন্ত গর্বিত। তিনি জানান, ‘বচন শহিদ হওয়ার পর থেকে জীবনটা সহজ ছিল না। দুই ছেলেকে মানুষ করতে হয়েছে। আজ হীতেশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পাওয়ায় আমি গর্বিত।’ কামেশবালা জানিয়েছেন তাঁর ছোট ছেলে, হেমন্তও সেনায় যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
হীতেশ সেনায় যোগ দেওয়ায় খুশি শহীদ বচন সিং-এর ব্যাটেলিয়নের সহকর্মীরাও। কার্গিল যুদ্ধে ভারতের পক্ষে প্রথম সাফল্য এসেছিল টোলোলিং-এ। ৩ সপ্তাহের রক্তক্ষয়ী সেই যুদ্ধে শতাধিক সেনাকর্মী হতাহত হন। মৃত্যু হয়েছিল ১৭ জনের। তাঁদেরই একজন ছিলেন বচন সিং। বচনের সহকর্মী ঋষিপাল সিং বলেন, ‘বচন একজন সাহসী যোদ্ধা ছিলেন। টোলোলিং-এ মাথায় গুলি লেগে যুদ্ধক্ষেত্রেই তাঁর মৃত্যু হয়। আমি খুব খুশি যে ওর ছেলে আজ সেনাবাহিনীতে যোগ দিল। বচন বেঁচে থাকলে খুব গর্বিত হত।’
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2sXQ9iO
June 11, 2018 at 02:33PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন