মুম্বাই, ২১ জুন- ওবেসিটি বা অতিস্থূলতা এখন গোটা বিশ্বের মাথা ব্যথার বড় কারণ। মেদ ঝরিয়ে সুস্থ এবং চনমনে থাকাটা বেশ কঠিন। তবে সেই কঠিন পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়ে ওজন কমানোর যুদ্ধে নেমেছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক আদনান সামি। ২৩০ কেজি থেকে শুরু হয়েছিল ওজন কমানোর কসরত। ১৬৭ কেজি ঝরিয়ে আদনান এখন ছিপছিপে, প্রায় নির্মেদ। কেমন ছিল আদনানের জার্নি, চলুন জেনে নেয়া যাক। অতিরিক্ত মেদের কারণে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন আদনান। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই শুরু হয় মেদ ঝরানোর যুদ্ধ। সঠিক ডায়েট ও শরীরচর্চার জন্য নামী নিউট্রিশনিস্টের দ্বারস্থ হন তিনি। উড়ে যান হিউস্টন। তবে ওই যাত্রায় তিনি একা ছিলেন না। পরিবার ও বন্ধুরাও তাঁর পাশে ছিলেন বলে জানিয়েছেন আদনান। ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়া মোটেই সহজ ছিল না। আদনানের কথায়, বিষয়টা ৮০ শতাংশ মানসিক এবং ২০ শতাংশ শারীরিক। ডায়েট শুরুর আগের দিন নাকি কব্জি ডুবিয়ে পছন্দের খাবার ম্যাশড পটেটো, প্রচুর মাখন মাখানো স্টেক এবং বড়সড় চিজ কেক দিয়ে ভুরিভোজ সেরেছিলেন তিনি। তবে, ঠিক তার পর দিন থেকেই শুরু করেছিলেন লো-ক্যালরি এবং হাই-প্রোটিন ডায়েট। প্রথমেই তাঁর খাদ্যতালিকা থেকে ভাত, রুটি এবং জাঙ্কফুড ছেঁটে ফেলেন নিউট্রিশনিস্ট। সেখানে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নেয় সালাদ, মাছ এবং সেদ্ধ ডাল। আদনান জানান, নিউট্রিশনিস্ট আমাকে বলেন আগে মন থেকে খাই খাই বন্ধ কর। তার পর ডায়েট মেনে চলুন। মনকে সংযত করলে তবেই শরীর কথা শুনবে। আদনানের দিন শুরু হতো এক কাপ চিনি ছাড়া চা দিয়ে। লাঞ্চে সবজির সালাদ এবং মাছ। রাতে শুধু সেদ্ধ ডাল অথবা চিকেন। তা ছাড়া, খুচরো খিদে মেটাতে বাড়িতে তৈরি পপকর্ন, লবণ-মাখন ছাড়া। সঙ্গে চিনি ছাড়া ড্রিঙ্কস। সঠিক ডায়েট মেনে ৪০ কিলোগ্রাম ওজন ঝরানোর পরেই জিমে যাওয়ার অনুমতি পান আদনান। সেখানে ট্রেডমিল এবং হালকা ফ্রি-হ্যান্ড দিয়েই শুরু হয় তাঁর শারীরিক কসরত। কয়েক মাস পর ট্রেনার প্রশান্ত সবন্ত তাঁর জন্য ওয়েট ট্রেনিং-এর রুটিন বানিয়ে দেন। সপ্তাহে ছয়দিন মেপে ফিটনেস ট্রেনিং শুরু করেন গায়ক। প্রতি মাসে ১০ দশমিক ৫ কেজি করে ওজন ঝরিয়েছেন আদনান। ১৬ মাসের মধ্যে ১৬৭ কেজি ওজন ঝরিয়ে এখন তাঁর ওজন ৬৩ কেজি। ২০১৩ সালে ফের যখন পর্দায় ধরা দেন গায়ক, গোটা দেশ তাঁর নতুন লুক দেখে চমকে ওঠে। মেকওভারের পর আদনান নিজেও খুব খুশি। গায়ক বলেছেন, আগে নিজের পায়ের পাতা দেখতে পেতাম না। আর এখন অনেক ফিট এবং ঝরঝরে লাগে। মানসিক অবসাদও চলে গিয়েছে। সূত্র: পূর্বপশ্চিম এমএ/ ১০:২২/ ২১ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2JXcc4j
June 22, 2018 at 04:41AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন