বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের আলোচিত মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান স্বপ্না শাহীনের বিরুদ্ধে এবার সরকারি নলকুপের পাম্প খুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাড়া-পড়শীদের সাথে মনোমালিন্যের জের ধরে তিনি এমনটি করেছেন বলে জানাগেছে। এঘটনায় গ্রাম পঞ্চায়েত অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তাকে। এর আগে চাঁদাবাজি, প্রতিবন্ধি ও মাতৃত্বকালীন ভাতা নিয়ে ‘নয়-ছয়’র ঘটনায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন তিনি।
জানা যায়, নিজ গ্রাম উপজেলার পুরানগাঁও’র ২৫/৩০টি দরিদ্র পরিবারের সুপেয় পানির চাহিদা মেটানোর জন্যে পরিষদ থেকে সরকারি বরাদ্দের একটি ডিপ টিউবওয়েল পান স্বপ্না শাহীন। পরে স্বামীর নামে বরাদ্দ নিয়ে এটি তিনি তার ঘরের পাশে স্থাপন করেন। স্থাপনের পর ওখান থেকেই পানি নিচ্ছিলেন পাড়া-পড়শী সকলেই। গত রমজানের শেষের দিকে প্রতিবেশীদের সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় তিনি টিউবওয়েলটি তালাবদ্ধ করে রাখেন। এতে করে খাবার পানির জন্যে দূর্বিসহ কষ্ট পোহাচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ। এনিয়ে এলাকায় একাধিক সালিশ-বৈঠক বসে। গ্রামবাসিরা তাকে টিউবওয়েল উন্মুক্ত করে দিতে অনুরোধ করেন। গ্রামের মুরব্বিদের বিচার না মানায় তাকে অবাঞ্চিত করে গ্রাম পঞ্চায়েত। পরে ক্ষেপে গিয়ে তিনি টিউবওয়েলেরে পাম্প খুলে নেন। গত শনিবার (৭ জুলাই) সরেজমিন স্বপ্না শাহীনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার বসত ঘরের পাশে স্থাপন করা টিউবওয়েলের পাম্প নেই। পলিথিন দিয়ে মোড়ানো পাইপ।
গ্রাম পঞ্চায়েতের মুরব্বি, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদীন কদ্দুস জানান, অবাঞ্চিত ঘোষণার পর আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা চাওয়ায় ও টিউবওয়েল উন্মুক্ত করার শর্তে আমরা ক্ষমা করে দেই।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে স্বপ্না শাহীন সাংবাদিকদের বলেন, নীচ ভেঙ্গে যাওয়ায় পাম্প খুলে রাখা হয়েছে। সংস্কার করে লাগানো হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি টিউবওয়েল থেকে যে কেউ পানি নিতে পারবে। বাধা দেয়ার এখতিয়ার কারো নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2KSfi9A
July 08, 2018 at 08:27PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন