এক আসর পর আবার সাউথ এশিয়ান গেমসে (এসএ গেমস) অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ক্রিকেট। আগামী বছর ৯ থেকে ১৮ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখরায় হবে দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিকখ্যাত এসএ গেমস। ২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত একাদশ এসএ গেমসে ক্রিকেট থাকলেও ভারতের গোয়াহাটি ও শিলংয়ে পরের আসরে ছিল না এ ডিসিপ্লিন। আট বছর পর এসএ গেমসে আবার ফিরছে ক্রিকেট। ক্রিকেট এসএ গেমসে জায়গা করে নিলেও বাদ পড়েছে হকি। নেপালে অ্যাস্ট্রোটার্ফ না থাকায় হকি ছেঁটে ফেলা হয়েছে গেমসের ডিসিপ্লিনের তালিকা থেকে। শনিবার নেপালের কাঠমান্ডুতে অংশগ্রহনকারী ৮ দেশের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের বৈঠকে গেমসের ডিসিপ্লিন চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ সভার আগ পর্যন্ত গেমসের ডিসিপ্লিন ছিল ২৬ টি। হকি বাদ হয়েছে, অন্তর্ভূক্ত হয়েছে ক্রিকেটের সঙ্গে প্যারাগ্লাইডিং। সব ঠিক থাকলে ২৭ ডিসিপ্লিনেই বসবে এসএ গেমসের ত্রয়োদশ আসর। সভায় প্রস্তাব উঠেছিল এশিয়ান গেমসের রেশ থাকতেই এসএ গেমস আয়োজনের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গেমসে আগামী বছর মার্চেই নেয়া হয়েছে। দ্বাদশ এসএ গেমস হয়েছিল ২০১৬ সালে ভারতের গোয়াহাটি ও শিলংয়ে। দুই বছর পর পর হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৫ সালে নেপালে হওয়া ভয়াবহ ভুমিকম্পের কারণে পেছানো হয়েছিল এসএ গেমস। বিলম্বে হলেও গেমসের বর্ণিল আয়োজন করতে চায় নেপাল। বৈঠক শেষে নেপাল অলিম্পিক কমিটি চেয়ারম্যান জীবন রাম শ্রেষ্ঠা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটা নেপালের জন্য চ্যালেঞ্জ। দুঃস্বপ্ন ভুলিয়ে দিতে যতটা সম্ভব ভালো করতে চাই। সবাই আমাদের সহযোগিতা করবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে আলোচিত ক্রিকেট আঞ্চলিক গেমসে পূনরায় অর্ন্তভক্ত প্রসঙ্গে জীবন রামের মন্তব্য, এখন ক্রিকেটের প্রতি সবার আগ্রহ রয়েছে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই খেলাটিকে অর্ন্তভক্ত করা হয়েছে। ক্রিকেট পুরুষ ও মহিলা- দুই বিভাগে খেলা হবে। ফুটবলের মতো ছেলেদের বিভাগে থাকবে অনূর্ধ্ব-২৩ দল, সিনিয়র খেলানো যাবে তিনজন। আর মেয়েদের বিভাগে থাকবে সিনিয়র দল। ফরম্যাট চুড়ান্ত হলেও টি-টোয়েন্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বৈঠকে অংশ নেয়া বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ফখরুদ্দিন হায়দার জানান, সাত দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে গেমস আয়োজন নিয়ে কেউ আপত্তি তোলেননি। নতুন দুটি ডিসিপ্লিনও চুড়ান্ত করা হয়েছে। ২০১৬ সালে শিলং-গৌহাটি এসএ গেমসে ডিসিপ্লিন ছিল ২৩টি। এবার একটি বাদ দিলেও করা হয়েছে ২৭টি। নেপালে এটি তৃতীয় এসএ গেমস; ১৯৮৪ সালে ফুটবল, সাঁতার, বক্সিং, অ্যাথলেটিক্স ও ভারোত্তোলন-এই পাঁচটি ডিসিপ্লিন নিয়ে প্রথম সাউথ এশিয়ান গেমস হয়েছিল কাঠমান্ডুতে। ১৯৯৯ সালে হয়েছিল অস্টম আসর, ডিসিপ্লিন ছিল ১২টি। সে আসরে নতুন খেলা ছিল কারাতে ও তায়কোয়ান্দো। এসএ গেমসের ডিসিপ্লিগুলো হচ্ছে- আরচারি, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, বক্সিং, অ্যাথলেটিকস, ক্রিকেট, সাইক্লিং, ফুটবল, হ্যান্ডবল, জুডো, কাবাডি, শুটিং, উশু, খো খো, স্কোয়াশ, সাঁতার, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ান্দো, টেনিস, ট্রায়াথলন, ভলিবল, ভারোত্তোলন, প্যারাগ্লাইডিং, কুস্তি, কারাতে ও গলফ। বাংলাদেশ গেমসে কয়টি ইভেন্টে দল পাঠাবে তা চুড়ান্ত হবে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) পরবর্তী সভায়। তবে প্যারাগ্লাইডিং ও ট্রায়াথলনে দল যাচ্ছে না- নিশ্চিত। কেননা, এ দুটি খেলার প্রচলনই নেই বাংলাদেশে। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/১০:১৪/২৩ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2NDdSgN
July 24, 2018 at 05:31AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন