সোমবার বিকেলে পুলিশ তাকে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ ম্যাট্রোপালিটন আদালতের বিচারক হোসেইন বিল্লাহ’র আদালতে তুললে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এরআগে আক্রান্ত স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ডা. মাক্কাম মাহমুদকে আসামী করে কতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন।
অভিযুক্ত মাক্কাম আহমদ মাহীকে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা এলাকারা মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ভিকটিম নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা যায়।
অভিযুক্তের স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, নগরের বনকলা পাড়ার বাসিন্দা এক রোগীর সঙ্গে আসেন ওই স্কুলছাত্রী। ভিকটিম তার নানিকে নিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল। সেই ওয়ার্ডে চিকিৎসক না থাকায় রোগীর নাতনি ভোর রাত ৩টার দিকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে যান। এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসক মাক্কাম আহমদ তাকে ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে সোমবার সকাল ৮টার দিকে মেয়ের বাবা-মা ওসমানী মেডিকেলের পরিচালকের কাছে মাক্কাম আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর পর হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ ও ভিকটিমের স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক এ ব্যাপারে বলেন, ‘ভিকটিমকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। মাকামে মাহমুদকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া সব ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ফুটেজ সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ https://ift.tt/2zHsVEk
July 17, 2018 at 12:11PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন