আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের রয়েছে বাহারী সব নাম। আদিকাল থেকেই বিভিন্ন রসালো আমের জাত ভেদে নাম রয়েছে। বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তারের রেওযাজই অসংখ্য জাত সৃষ্টির প্রধান কারণ। জাত ভেদের বিভিন্ন নামের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে নাবী জাতের নতুন আম তাইওয়ান গ্রীণ। ভিয়েতনাম থেকে ‘তাইওয়ান গ্রীণ’ জাতের আমের সায়ন বা ডগা সংগ্রহ করে ৩ বছর ধরে গবেষনা করে সফল হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে গবেষকরা। গবেষকদের দাবি চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টার থেকে ‘তাইওয়ান গ্রীণ’ এটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এবছর থেকে আম চাষিরা চারা সংগ্রহ করতে পারবে। তবে আগামী বছর থেকে ব্যাপক ভিত্তিক চারা সরবরাহ করা হবে। .
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক ড. সাইফুর রহমান জানান, ২০১৩ সালে ভিয়েতনাম থেকে ‘তাইওয়ান গ্রীণ’ জাতের আমের সায়ন বা ডগা সংগ্রহ করা হয়। ওই বছরই চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে ওই সায়ন থেকে চারা উৎপাদন করে শুরু হয় গবেষণা। ভিয়েতনাম থেকে সায়ন সংগ্রহ করা হলেও মূলত এ জাতটি তাইওয়ানের। সে দেশের নাম অনুসারেই জাতটির নাম ‘তাইওয়ান গ্রীণ’। তিন বছরের সফল গবেষণা শেষে ২০১৬ সালে তাইওয়ান গ্রীণ গাছে প্রথম ফল আসে। প্রথম বছর মাত্র দুটি আম ধরলেও পরের বছরগুলোতে ভালই ফল হয় গাছে।
গবেষকরা বলছেন, নাবী জাতের এই আমটির স্বাদ ফজলির চেয়েও ভাল। কাঁচাতেই মিষ্টি। পাকলে মিষ্টতার পরিমান প্রায় ১৬ শতাংশ। আকারে আট থেকে ১১ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। ওজনেও হয় ৭০০ থেকে ১১০০ গ্রাম। এই আমের সবচেয়ে ভাল বৈশিষ্ট হলো, আগস্ট মাসে এই আম পাকে, যখন বাজারে ভাল জাতের আম কমে আসে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের জার্মপ্লাজম কর্মকর্তা জহরুল ইসলাম জানান, এরইমধ্যে কৃষি বিভাগ একটি কমিটি গঠন করে তাইওয়ান গ্রীণ জাতের আমের মূল্যায়ণ করেছে। সম্ভাবনাময় জাত হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টার থেকে এটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রচলিত বাণিজ্যিক জাতের আমগুলো খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে পাকে। তাই বাজারে আমের সরবরাহ বেশি হওয়ায় দরপতন দেখা দেয়। তাইওয়ান গ্রীণের মতো নাবী জাতের সম্প্রসরাণ হলে আমের দরপতন রোধ করা সম্ভব হবে। এই আমটি পাকবে আগস্ট মাসে। ওই সময় প্রচলিত জাতের আম কমে আসে বাজারে, তাই এই জাতের আম চাষ করে কৃষক লাভবান হবে বলে দাবি করছেন গবেষকরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৮-০৭-১৮
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক ড. সাইফুর রহমান জানান, ২০১৩ সালে ভিয়েতনাম থেকে ‘তাইওয়ান গ্রীণ’ জাতের আমের সায়ন বা ডগা সংগ্রহ করা হয়। ওই বছরই চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে ওই সায়ন থেকে চারা উৎপাদন করে শুরু হয় গবেষণা। ভিয়েতনাম থেকে সায়ন সংগ্রহ করা হলেও মূলত এ জাতটি তাইওয়ানের। সে দেশের নাম অনুসারেই জাতটির নাম ‘তাইওয়ান গ্রীণ’। তিন বছরের সফল গবেষণা শেষে ২০১৬ সালে তাইওয়ান গ্রীণ গাছে প্রথম ফল আসে। প্রথম বছর মাত্র দুটি আম ধরলেও পরের বছরগুলোতে ভালই ফল হয় গাছে।
গবেষকরা বলছেন, নাবী জাতের এই আমটির স্বাদ ফজলির চেয়েও ভাল। কাঁচাতেই মিষ্টি। পাকলে মিষ্টতার পরিমান প্রায় ১৬ শতাংশ। আকারে আট থেকে ১১ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। ওজনেও হয় ৭০০ থেকে ১১০০ গ্রাম। এই আমের সবচেয়ে ভাল বৈশিষ্ট হলো, আগস্ট মাসে এই আম পাকে, যখন বাজারে ভাল জাতের আম কমে আসে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের জার্মপ্লাজম কর্মকর্তা জহরুল ইসলাম জানান, এরইমধ্যে কৃষি বিভাগ একটি কমিটি গঠন করে তাইওয়ান গ্রীণ জাতের আমের মূল্যায়ণ করেছে। সম্ভাবনাময় জাত হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টার থেকে এটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রচলিত বাণিজ্যিক জাতের আমগুলো খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে পাকে। তাই বাজারে আমের সরবরাহ বেশি হওয়ায় দরপতন দেখা দেয়। তাইওয়ান গ্রীণের মতো নাবী জাতের সম্প্রসরাণ হলে আমের দরপতন রোধ করা সম্ভব হবে। এই আমটি পাকবে আগস্ট মাসে। ওই সময় প্রচলিত জাতের আম কমে আসে বাজারে, তাই এই জাতের আম চাষ করে কৃষক লাভবান হবে বলে দাবি করছেন গবেষকরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৮-০৭-১৮
from Chapainawabganjnews https://ift.tt/2Jyp0ZO
July 18, 2018 at 09:09PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন