গায়ানা, ২২ জুলাই- বন্ধু সাকিব আল হাসান অল্পের জন্য ব্যর্থ হলেও এবার আর ভুল করেননি দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তামিম সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন গত বছরের জুনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। এরপর বেশ কয়েকবার সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছেন। তার সেঞ্চুরির সংখ্যা দুই অংকে নেওয়ার অপেক্ষার প্রহর অবশেষে কাটল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ১৪৬ বলে ৭ চার ১ ছক্কায় তিন অংকে পৌঁছান তামিম। বাংলাদেশের যেকোনো ফরম্যাটের ক্রিকেটেই এত সেঞ্চুরি কোনো ক্রিকেটারের নেই। এর আগে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ব্যর্থ হন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এটি হতে পারত তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি। কিন্তু তার ১২১ বলে ৬ বাউন্ডারিতে গড়া ৯৭ রানের ইনিংসটি শেষ হলো দেবেন্দ্র বিশুরু বলে হেটমায়ারের তালুবন্দি হয়ে। নার্ভাস নাইন্টিতে ধৈর্য্য হারিয়েছিলেন সাকিব। তিনি সর্বশেষ গত বছরের জুনে দ্য ওভালে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ছিল ১৭৪ রানের। সাকিব-তামিম আজ ভেঙে দিয়েছেন ২০১২ সালে খুলনায় গড়া বিজয়-মুশফিকের এই রেকর্ড। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি সাকিব-মাহমুদ উল্লাহর ২২৪ রান। সাকিবের বিদায়ে সেই রেকর্ড ভাঙা হলো না। জুটি থামল ২০৭ রানে; যা বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। গত জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে বাদ পড়েছিলেন। প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো খেলা লিটন দাসের জায়গায় সুযোগ পেয়েও ৩ বল খেলে ডাক মেরেছেন তিনি। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের করা অফ স্টাম্পের অনেক দূর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন বিজয়। বিজয়ের বিদায়ের পর তামিমের সঙ্গী হন তার বন্ধু সাকিব। ম্যাচের আগে থেকেই মেঘে ঢাকা ছিল আকাশ। বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামার সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। ম্যাচ ৪.৪ ওভার গড়াতেই বৃষ্টির বেগ বাড়তে থাকে। বাংলাদেশের স্কোর তখন ১ উইকেটে ১০ রান। মিনিট ১৫ বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয় খেলা। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংয়ে রীতিমতো ঘুম পাওয়ার জোগার! গ্যালারিতে থাকা গুটিকয়েক দর্শকও হাই তুলছিলেন। প্রথম বাউন্ডারি এসেছে ৯ম ওভারে! পাওয়ার প্লের সুবিধা মোটেও কাজে লাগাতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা। ১০ ওভারে উঠেছে মাত্র ৩১ রান। ১৫তম ওভারে ৫০ রান করেছে বাংলাদেশ। এরপর একটু হাত খোলার চেষ্টা করেন দুই বন্ধু। এতে বেশ কাজে দেয়। ঘুরতে থাকে রানের চাকা। অনেকদিন পর দুই বন্ধু সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালের দারুণ একটি জুটির দেখা পায় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মন্থর শুরুর পর ধীরে ধীরে হাত খুলতে থাকেন সাকিব-তামিম। দুজনেই তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। সাকিবের এটি ৩৮তম আর তামিমের ৪৮তম। তাদের জুটিতে সেঞ্চুরি আসে ১৪৭ বলে। ২৪৮ বলে আসে জুটির ২০০ রান। তবে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা সাকিবের আচমকা এক শটে দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙে ২০৭ রানে। সূত্র: কালের কন্ঠ এমএ/ ১১:২২/ ২২ জুলাই



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2LIHQzG
July 23, 2018 at 05:31AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top