নিউ ইয়র্ক, ১৭ জুলাই- অধ্যক্ষ হুসনে আরা আহমেদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার রাত ১টা ৪০ মিনিটে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের বাড়িতে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। অধ্যক্ষ হুসনে আরা আহমেদ দুই ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। অধ্যক্ষ হুসনে আরা আহমেদ একজন অগ্রণী বিদুষী নারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শিক্ষাক্ষেত্রে যাঁর অবদান সুবিদিত। সিলেটের নারীশিক্ষার প্রসার ও উন্নয়নে ১৯৫০ সালের দিকে কাজ শুরু করেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে সিলেট মহিলা কলেজ ক্ষুদ্র অবস্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। দীর্ঘ ৩২ বছর তিনি সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠকে এগিয়ে নিতে মেধা, শ্রম দিয়ে কাজ করেছেন। সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ ওই অঞ্চলে তথা সমগ্র নারী প্রগতিতে ধারাবাহিক অবদান রেখে চলেছে। বিদ্যায়তনিক শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নের পাশাপাশি নীতিবোধ ও মূল্যবোধের উৎকর্ষ সাধনে অধ্যক্ষ হুসনে আরা আহমেদের অবদান অনন্য। পঞ্চাশ, ষাট ও সত্তরের দশকজুড়ে সিলেট অঞ্চলে বিভিন্ন সামাজিক-সাংগঠনিক উদ্যোগের আয়োজন ও নেতৃত্বদানে তিনি রেখেছেন বলিষ্ঠ ভূমিকা। মরহুমার স্বামী মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহীদ ডা. শামসুদ্দীন আহমদ। সমাজ ও মানুষের সেবায় তাঁরা একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করেছেন আজীবন। অধ্যক্ষ হুসনে আরার পুত্র ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সোমবার এশার নামাজের পর মরহুমার জানাজা জামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। তাঁকে নিউইয়র্কেই ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল কবরস্থানে ১৭ জুলাই মঙ্গলবার সকালে সমাহিত করা হবে। অধ্যক্ষ হুসনে আরা আহমেদের মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ দেশের ও প্রবাসের অসংখ্য মানুষ তাৎক্ষণিক শোক জানিয়েছেন। অনেকেই তাঁদের শোকবার্তায় বলেছেন, রত্নগর্ভা হুসনে আরা আহমেদ নিজেই শুধু দেশের কাজে নিবেদিত ছিলেন না। স্বামীকে হারিয়েছেন দেশের মুক্তিযুদ্ধে। তিনি তাঁর সন্তানদেরও দেশ ও দশের কাজে নিজেদের উৎসর্গ করার শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2zS2UlQ
July 17, 2018 at 08:56PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন