ঢাকা, ২১ জুলাই- তখন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল ছিলেন সানশাইন গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজের এ লেভেলের ছাত্র। আর আয়েশাও ছিলেন ওই স্কুলের ছাত্রী। কেমন করে যেন হঠাৎ একদিন তামিমের চোখে পড়ে যায় আয়েশা। এরপর থেকে আয়েশাকে পটানোই হয়ে যায় তামিমের একমাত্র কাজ। প্রথম প্রথম ইশারা-ইঙ্গিতে চেষ্টা করলেন; কাজ হয় না দেখে আয়েশার এক বান্ধবীকে দিয়ে প্রস্তাব পাঠান তামিম। কিন্তু এতেও কাজ হলো না। অবশেষে তামিম সোজা হেঁটে গিয়ে আয়েশাকে বললেন, আই লাভ ইউ। এবারও কাজের ক-ও হলো না। একেবারে শোনামাত্রই প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন আয়েশা। ঠিক কী বলে খারিজ করেছিলেন তা পুরোপুরিভাবে বলা না গেলেও কেউ কেউ বলেন, আয়েশা নাকি বলেছিলেন, আই হেইট দিস ওয়ার্ড-লাভ! এরপর তামিম বিনয়ের সঙ্গে আয়েশাকে প্রস্তাব দিলেন, আচ্ছা প্রেম করে কাজ নেই! ওটা ভালো কথা না। ওর চেয়ে আমরা বন্ধু হিসেবেই থাকি। এমন নিরীহ প্রস্তাবে আর না করলেন না আয়েশা। এভাবে কিছুদিন চলার পর তামিমের ভালোবাসায় কাবু হলেন আয়েশা। শুরু হয়ে গেল প্রেম-ভালোবাসার নতুন এক গল্প। কিন্তু তাই বলে চট্টগ্রামের দুই সম্ভ্রান্ত রক্ষণশীল পরিবারের ছেয়েমেয়ে রাস্তায় ড্যাং ড্যাং করে হাত ধরে প্রেম করে বেড়াবে, সে কল্পনারও সুযোগ নেই। একবার প্রেম শুরু হয়ে গেলে শুরু হলো আসল যন্ত্রণা। স্কুলের দারোয়ান, বাসার পাহারাদার, অভিভাবকদের লাল লাল চোখ ফাঁকি দিয়ে দেখাই করা দায়। প্রেম হবে কী করে? ভাগ্যিস তত দিনে মোবাইল এসে গেছে দেশে; নইলে আরেকটা লাইলি-মজনু লিখতে হতো কি না, কে জানে। মোবাইলে আবার বেশি কথা বলার উপায় নেই। তাহলে ধরা পড়ে যাবে। তাই ছোট ছোট টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে চলে প্রেম। আর ফাঁকে ফুসরতে একবার চোখের দেখা মিললেই যেন আকাশ হাতে মেলে। এর মধ্যে আয়েশা একবার বাসায় টেক্সট পাঠালে ধরা পড়ে কেলেঙ্কারিও নাকি হতে বসেছিল। সমস্যাটা দিনকে দিন আয়েশার তরফেই বাড়তে থাকল। তামিম তার মাকে বলে আগেই প্রেমের জানাজানির সূচনাটা করে রেখেছিলেন। তামিমের মাও খুব সেকেলে মানুষ নন। তাই মেনেই নিয়েছিলেন ব্যাপারটা। কিন্তু আয়েশার হলো ঝামেলা, বাড়ি বলতেও পারেন না, সইতেও পারেন না। আত্মীয়-স্বজনরা যা গিফট দেয় লুকিয়ে তামিমকে পাঠিয়ে দেন, আর গুমরে ফেরেন। এর মধ্যে আয়েশাকে মুক্তি দিল মালয়েশিয়া। কুয়ালালামপুরের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চলে গেলেন আয়েশা। ব্যস! তামিমের পৃথিবীতে প্রিয় শহর হয়ে গেল কুয়ালালামপুর, প্রিয় পরদেশ মালয়েশিয়া, প্রিয় বিমান মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস! তত দিনে তামিম জাতীয় দলের তারকা। সিরিজের মাঝে মাঝেই ছুটি পান। ছুটি পেয়েই সো করে চলে যান মালয়েশিয়া। দেশে যতই বাধা থাক, মালয়েশিয়াই আসলে প্রথম সিনেমার মতো প্রেম জমল। রেস্টুরেন্ট, সিনেমা, বেড়ানো; এসব না হলে আর কিসের প্রেম। আর এই সবই হলো মালয়েশিয়ায়। কিন্তু এভাবে আর কত দিন? নাহ। আর বেশি চেপে রাখলেন না তামিমের মা। বুঝলেন ছেলে বড় হয়েছে, মেয়েও যোগ্য; তাহলে আর কিসের বাধা। তিনি মাথা নাড়াতেই কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়লেন আকরাম খান, নাফীস ইকবাল, সিরাজউদ্দিন আলমগীররা। শুরু হয়ে গেল বিয়ের মহাযজ্ঞ। সূত্র: বিডি২৪লাইভ আর/১০:১৪/২১ জুলাই
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2O7QR6Y
July 22, 2018 at 04:57AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন