ফ্লোরিডা, ০৬ আগস্ট- স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯ বছর পর ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ টাইগারদের বিধ্বস্ত করেছে ৭ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয়। এরপর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয় পায় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরে বাংলাদেশ। আজ সোমবার (৬ আগস্ট) তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ জিতল টাইগাররা। আজকের অঘোষিত ফাইনালে টস জিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ম্যাচের শুরু থেকেই লিটন দাস চমক দেখিয়েছে। ২২ বলে দলীয় পঞ্চাশ রানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে এটি বাংলাদেশের দ্রুততম ৫০ রানের ইনিংস। ফ্লোরিডায় টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তুলেন দুই ওপেনার তামিম ও লিটন। তামিম ইকবাল ১৩ বলে ২১ রান করে ব্রেথওয়াইটের বলে আউট হয়ে ফিরে যান। তার ২১ রানে ৩টি চার ও ১টি ছয় ছিল। এরপর মাঠে নামে সৌম্য সরকার। সৌম্য সুবিধা করতে পারেনি। ৪ বল খেলে মাত্র ৫ রান করে আউট হয়ে যায়। এর মধ্যে ছিল ১টি চারের মার। সৌম্য ফিরে গেলে এরপর লিটন দাসকে সঙ্গ দেয় মুশফিক। লিটন দাস ৭.৫ ওভারে ১ রান নিয়ে টি-২০ ম্যাচে প্রথম অর্ধশতক রান করে। মুশফিক দলীয় ৯৭ রানের সময় ব্রেথের বলে আউট হয়ে ফিরে যান। তার ব্যাক্তিগত সংগ্রহ ছিল ১৪ বলে ১২ রান। এর মধ্যে ১টি চারের মার ছিল। এর পর মাঠে নামেন ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান। দলীয় ১০২ রানের মাথায় ঝড়ো ইনিংস করা লিটন দাস ৩২ বলে ৬১ রানে আউট হয়ে যায় উইলিয়ামসের বলে। তার ঝকঝকে ইনিংসে ছিল ৬টি ৪ এবং ৩টি ৬ এর মার। এরপর সাকিবকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামে মাহমুদুল্লাহ। সাকিব ব্যাক্তিগত ২২ বলে ২৪ রান করে কিমো পলের বলে নার্সের কাছে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান। এর পর মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গ দিতে মাঠে আসেন আরিফুল। আরিফুল ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাহাড়সম ১৮৪ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। এদিকে, ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চাপে পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পরে উইন্ডিজরা। মোস্তাফিজ, সৌম্য ও সাকিব ১টি করে উইকেট তুলে নেয়। মোস্তাফিজ বোলিংয়ে এসে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। আন্দ্রে ফ্লেচারকে আউট করেন বাঁহাতি এই পেসারের। তার আউটের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১ উইকেটে ২৬। এরপর ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন নাজমুল ইসলাম অপু। তার ওভার শেষ করার জন্য বোলিংয়ে আসেন সৌম্য সরকার। এসেই উইকেটের স্বাদ দেন বাংলাদেশকে। ৫ ওভারের পঞ্চম বলে আউট চডরিক ওয়ালটন। ১৯ বলে ১৯ রান করেন তিনি। সাকিব নিজের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে এনে দেন সাফল্য। মারলন স্যামুয়েলসের উইকেট তুলে নেন টাইগার অধিনায়ক। ৭ বলে ২ রানে সাজঘরে ফেরেন স্যামুয়েলস। এরপর রামদিনেকে ফিরিয়ে দেন রুবেল। এই ডানহাতি পেসারের বলে বোল্ড হন ১৮ বলে ২১ রান করা রামদিন। ফের মোস্তাফিজের কাটারে বধ রভম্যান পাওয়েল। অফস্ট্যাম্পের বাইরে বেরিয়ে যাওয়া বলে বড় শট নিতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দেন রভম্যান। ২০ বলে ২৩ রান করেন রভম্যান। এরপর রনি ১৬.৩ ওভারে তুলে নেন কার্লোস ব্রাফেট এর উইকেটটি। ভয়ঙ্কর হতে থাকা আন্দ্রে রাসেলকে ফেরান মোস্তাফিজ। তখন প্রায় বাংলাদেশ জয়ের দ্বার প্রান্তে। ঠিক এ সময় বৃষ্টি হলে খেলা বন্ধ থাকে। ভয়ংকর হয়ে ওঠা আন্দ্রে রাসেল কে ৪৭ রানে ফিরিয়ে দেয় মোস্তাফিজ। এরপরই বাংলাদেশ শিবিরে জয়ের সুবাস বইতে থাকে। আন্দ্রে রাসেল আউট হওয়ার পরপরই বৃষ্টিতে বিঘ্নিত হয় খেলা। পরে বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে বাংলাদেশ। স্কোর: ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩৫/৭, ১৭.১ ওভার বাংলাদেশ: ১৮৪/৫, ২০ ওভার তথ্যসূত্র: বিডি২৪লাইভ আরএস/০৮:০০/ ০৬ আগস্ট



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2MmCuKx
August 06, 2018 at 04:20PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top