লাটাগুড়ি ৯ আগস্টঃ মূর্তির জলে জলপাইগুড়ি জেলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাপ্পা সাহার মৃত্যুর ঘটনার পরও হুঁশ ফেরেনি সাধারণের। প্রশাসনের তরফে মূর্তি নদীতে নামার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তা কার্যকর করার দিকে বিশেষ নজর নেই বলেই অভিযোগ। ফলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মূর্তি নদীতে অবাধে চলছে বহিরাগতদের স্নান। নদীর ধারে বসে অবাধে মদ্যপান করে নদীতে নেমে পড়ছে তারা। যদিও এই বিষয়ে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মালের মহকুমা শাসক সিয়াত এন।
গত জুলাই মাসের নয় তারিখ বাপ্পা সরকার চলতিমাসের ১০ তারিখ বিকেলে তার বন্ধু আনন্দ সরকার ,আনন্দের স্ত্রী প্রীয়াঙ্কী সরকার, তাদের ছোট একটি মেয়ে, আনন্দের শ্যালক প্রতীক দাম ও গাড়ির চালক দেবাশিষ দে কে নিয়ে মুর্তিতে যায়। সেখানে খাওয়া দাওয়ার পর ওই দম্পতির সঙ্গে স্নান করতে মূর্তি নদীতে নামেন বাপ্পা। এরই মাঝে প্রীয়াঙ্কী ও তার ছোট মেয়ে ভিজে যাওয়াও গাড়ির চালকের সাথে তারা মূর্তি নদী থেকে কিছুটা দূরের একটি রিসোর্টে কাপড় বদলাতে যান। তারা রিসোর্টে থাকা কালিনই তাদের কাছে খবর যায় নদীতে তলিয়ে গেছে বাপ্পা। এরপরেই স্থানীয়রা এবং পরে পুলিশ বাপ্পার দেহ খুজতে শুরু করে। দশ দিন নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে ২০ জুলাই সকালে মূর্তি ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার হয় বাপ্পার সাহার মৃতদেহ।
ঘটনার পর থেকেই মূর্তি নদীতে নামার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় প্রশাসনের তরফে। কয়েকদিন চলে লাগাতার নজরদারিও। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফের মূর্তি নদীতে নেমে চলছে স্নান। অনেকে নদীতে নামার আগে পাড়ে বসে মদ্যপানও করছে। কোনো নজরদারি না থাকায় বেপরোয়া এই যুবকদের সামাল দেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ছবি ও তথ্যঃ শুভদীপ শর্মা
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2MwBvYk
August 09, 2018 at 11:25AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন