বিশ্বকাপের ইতিহাসের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে রাশিয়ায় নাম লিখিয়েছিলেন মিশরের এসাম এল হাদারি। ৪৫ বছর বয়সি মিশরের এই গোলরক্ষক বিদায় বলে দিলেন আন্তর্জাতিক ফুটবলকে। রাশিয়া বিশ্বকাপে সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচে মিসরের শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েই রেকর্ড বুকে নাম তোলেন হাদারি। সেদিন তার বয়স ছিল ৪৫ বছর ১৬১ দিন। সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপে খেলার আগের রেকর্ডটা ছিল কলম্বিয়ার ফরিদ মনদ্রাগনের (৪৩ বছর ৩ দিন)। নতুন রেকর্ড গড়ার দিনে একটি পেনাল্টিও সেভ করেন হাদারি। বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়ার পরই সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু প্রথম দুম্যাচে সে রেকর্ড ভাঙার সুযোগ পাননি। কোচ হেক্টর কুপার মাঠে না নামানোয় সাইড বেঞ্চে বসেই সময় কাটাতে হয় তার। তৃতীয় ম্যাচে এসে সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপে খেলার নতুন রেকর্ড গড়েন। মিসরের হয়ে চারটি আফ্রিকান নেশনস কাপ জিতেছেন হাদারি। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। হাদারি ফেসবুকে লিখেছেন, জাতীয় দলের হয়ে ১৫৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে এবং অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনে আমি অত্যন্ত গর্বিত। তিনি আরও বলেন, আশা করি যে, বিগত বছরগুলোয় আমি আমার মিশনে সফল হয়েছি। আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যারা আমার জীবনের সমস্যাগুলো বহন করেছে এবং আমার প্রতিটা পদক্ষেপে আমাকে সমর্থন করেছে। রাশিয়া বিশ্বকাপের তিন জন কোচ অ্যালিও সিসে (সেনেগাল), মাদেন ক্রাস্তাইচ (সার্বিয়া) ও রবের্তো মার্টিনেসের (বেলজিয়াম) চেয়েও বয়সে বড় ছিলেন হাদারি। সৌদির বিপক্ষে মাঠে নেমে রেকর্ড গড়ার দিনে দারুণ এক সেভে ঠেকিয়ে দেন পেনাল্টি শট। শেষ পর্যন্ত যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে গিয়ে সালেম আল দাউসাউরির গোলে জয় পায় সৌদিরা। আর শূন্য হাতে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে মিশর এবং হাদারি। ১৯৭৩ সালের ১৫ জানুয়ারিতে জন্ম নেয়া হাদারি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ১৫৯টি ম্যাচ খেলেছেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় ১৯৯৬ সালে। তবে তার তিন বছর আগে থেকেই অর্থাৎ ১৯৯৩ সালেই ক্লাবে অভিষেক ঘটে। বর্তমানে তিনি মিশরের ক্লাব ইসমাইলির হয়ে খেলছেন। এমএ/ ১১:০০/ ০৭ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2AQdWZ7
August 08, 2018 at 05:08AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন