শিলিগুড়ি, ১৯ অগাস্টঃ পাড়ার মেয়ে মল্লিকাকে শেষ দেখা দেখতেরাত জাগল সূর্য সেন কলোনি। আদুরে মেয়ে চলে গেছে, কিন্তু তার মহৎ কাজ যে সারা রাজ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, এদিন রাতের জনসমুদ্র যেন প্রমাণ করে দিল।
মাথায় আঘাত নিয়ে টানা প্রায় ২৫ দিনের চিকিৎসার পর শুক্রবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে সূর্য সেন কলোনির ই ব্লকের বাসিন্দা মল্লিকা মজুমদারকে ব্রেনডেড বলে ঘোষণা করা হয। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে মল্লিকার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ দান করার সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার। শনিবার সকাল পর্যন্ত চলে এই প্রতিস্থাপন। মল্লিকার পরিবারের এই সিদ্ধান্তের খবর জানার পর থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল ৩৪ নম্বর ওযার্ডের এক চিলতে বাড়িটায়। প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবারই মল্লিকার দেহ শিলিগুড়িতে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওযা হয়। খবর চাউর হতেই শনিবার সকাল থেকে মল্লিকার বাড়ির সামনে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন প্রতিবেশীরা। এদিন দুপুরেই এসএসকেএম থেকে অ্যাম্বুলেন্সে মল্লিকার দেহ নিযে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তার পরিবারের সদস্যরা। বিকালের পর থেকে বাড়তে থাকে ভিড়। অবশেষে রাত দেড়টা নাগাদ শিলিগুড়ি এসে পৌঁছায অ্যাম্বুলেন্স। আর তারপরই যেন মানুষের ঢল নামে মল্লিকার বাড়ির সামনেই। ভিড়ে বাড়ির প্রায ৫০০ মিটার আগেই দাঁড়িযে যায অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্স থেকে দেহ নামানোর পর পাড়ার মেয়েকে শেষ দেখা দেখতে হুমড়ি খেযে পড়েন প্রতিবেশিরা। মোমবাতি হাতে মল্লিকার মরদেহের সামনে দাঁড়িযে পড়ে মানুষ। রাত দুটো নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন রাজ্যের পর্যটন তথা এলাকার বিধাযক গৌতম দেব। তিনি মল্লিকাকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরপর রাত দুটো পনেরো মিনিট নাগাদ দেহ নিযে যাওযা হয কিরণচন্দ্র শ্মশান ঘাটে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয মল্লিকার। গৌতম দেব বলেন, মল্লিকার পরিবার মহৎ কাজ করেছে। এটি একটি দৃষ্টান্ত হযে থাকবে। মল্লিকার জন্য বেঁচে থাকবে আরও পাঁচটা জীবন। প্রশাসন সবরকমভাবে তার পরিবারকে সাহায্য করবে।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal https://ift.tt/2OMEKLT
August 19, 2018 at 11:40AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন