জাকার্তা, ২০ আগস্ট- বাংলাদেশের ফুটবলে কয়েকদিন ধরেই সাফল্যের হাওয়া বইছিল। অবশেষে সেই সাফল্যর ছোঁয়া পেয়েই গেল দেশের ফুটবল। প্রথমবারের মত এশিয়ান গেমস ফুটবলের ইতিহাসে গ্রুপ পর্ব টপকে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠল লাল-সবুজের দেশ। বিশ্বমঞ্চে দেশের পতাকা উড়ানোর স্বপ্নই এখন দেখছে টিম বাংলাদেশ। হ্যা বাংলাদেশ পেরেছে। ব্যর্থতার সাগরে ডুবে থাকা দলটি পেরেছে নিজেদের পরিচয়ের জানান দিতে। ৯০ মিনিটের ছন্দময় লড়াইয়ের পরে যোগ করে সময়ে অধিনায়কের গোলে আসরে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে সফরকারীরা। এশিয়ান গেমসে লাল-সবুজরা আগেও জয় পেয়েছিল। ১৯৮২ সালের আসরে মালয়েশিয়াকে, ১৯৮৬ সালে নেপালকে এবং ২০১৪ সালে ইনচিয়ন এশিয়ান গেমসে আফগানিস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কাল জাকার্তায় যে জয়টা পেয়েছে সেটা ছিল অনেক গৌরবের। ফুটবল আনন্দে ভাসছে গোটা বাংলাদেশ। যেন ঈদের আগেই আরেকটি ঈদ উপহার দিলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল। দেশের মানুষের সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছে দলের ড্রেসিং রুম। সেই আনন্দরই কিছু অংশ শেয়ার করলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দলের দুই ফুটবলার বিপলু আহমেদ এবং আবু সুফিয়ান সুফিল। আলচারিতায় ছিলেন ক্রীড়া প্রতিনিধি হিমু আহমেদ। প্রথমবার বাংলাদেশকে এমন সাফল্য এনে দেয়ার অনূভুতিটা জানাতে গিয়ে বাংলাদশ দলের মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ বলেন,আসলে এই জয়ের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। এতটা খুশি মনে হয় কখনোই হইনি। মনে হচ্ছে ঈদের আগেই ঈদ উদযাপন করলাম। কিন্তু নিজের আনন্দের চেয়ে দেশের মানুষের আনন্দটাকেই বিশেষ ভাবে দেখছেন এই মিডফিল্ডার। তিনি জানান,এই জয়ে সব থেকে বেশি খুশি লাগছে দেশের মানুষের খুশি দেখে। তারা আমাদের জয়ে এতটা আনন্দিত ভাবতেই ভালো লাগছে। দেশের মানুষের খুশিটাই আমাদের বড় প্রাপ্তি। আয়োজক দেশ হিসেবে আগামী বিশ্বকাপে খেলবে কাতার। ফিফা র্যাংকিংয়েও বাংলাদেশের পেয়ে অনেক এগিয়ে তারা। তাদের অবস্থান যেখানে ৯৮ সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯৪। যার কারণে তাদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই নিজেদের মনোবলকে শক্ত করেছেন ফুটবলাররা। এই বিষয়ে বিপলু বলেন,আমাদের ফুটবলের বর্তমান যেই কন্ডিশন সেই কন্ডিশনে এই জয়টা আমাদের দেশের ফুটবলের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজন ছিল। মাঠে নামার আগে আমাদের সবার একটাই চিন্তা ছিল যে যেভাবেই হোক কাতারকে হারাতেই হবে। এই মনোবলটা নিয়েই আমরা মাঠে নেমেছিলাম। সেই মনোবলের ফল পেয়েছি আমরা। আর এমন জয় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসটা বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও মনে করেন এই ফুটবলার। তিনি জানান,এই জয়ের পর এখন যে কোন বড় দলের সঙ্গে ফাইট করার মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে আমাদের। এখন প্রতিপক্ষ যেমনই হোক, আমরা আমাদের সেরাটা দিলে জয় আমাদেরই হবে ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশের সাফল্যময় জয়ের সঙ্গী হওয়ার অনুভূতি নিয়ে বাংলাদেশ দলের আরেক ফুটবলার আবু সুফিয়ান সুফিল বলেন,সত্যিই দেশের অর্জনের সঙ্গী হতে পেরে ভালো লাগছে। ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি এটি। এই জয়ের ধারা বজায় রাখাই আমাদের উদ্দেশ্য। দ্বিতীয় রাউন্ডে নিজের লক্ষ্য নিয়ে সুফিল জানান,দ্বিতীয় রাউন্ডে অবশ্যই নিজের সেরাটা দেয়াই মূল লক্ষ্য। দলকে ভালো খেলা উপহার দেয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আর বিশ্বমঞ্চে দেশের পতাকা উড়ানোর স্বপ্নই এখন দেখছি আমরা। সূত্র : ঢাকাটাইমস ২৪ এইচ/১৩:১০/২০ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Myx02R
August 20, 2018 at 07:12PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন