পর্তুগিজ ফুটবলার রোনালদো ইয়ুভেন্তুস এবং পর্তুগাল জাতীয় দলে ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলে থাকেন। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে রোনালদো বর্তমান সময়ের সেরা খেলোয়াড় এবং তিনি সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের মধ্যে একজন হিসাবে গণ্য হয়ে থাকেন। রোনালদো ইংল্যান্ডে খেলা প্রথম খেলোয়াড় যিনি প্রধান ৪টি পিএফএ এবং এফডব্লিউএ পুরস্কার জিতেছেন, যা তিনি ২০০৭ সালে করেছেন। রোনালদো ২০০৮, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে সারা বিশ্বে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার বালোঁ দঅর জিতেছেন। তিনিই একমাত্র পর্তুগিজ যিনি এই পুরস্কার ৫ বার জিতেছেন। ছোটবেলায় ২৮ নম্বর জার্সি পরতেন রোনালদো। কখনও ৯, কখনও ১৭ নম্বর জার্সি পরেও দেখা গেছে তাকে। এখন রোনালদো মানেই সাত নম্বর জার্সি। রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে গেলেও রোনালদো ত্যাগ করেননি সাত নম্বর জার্সি। কেন সাত নম্বর জার্সি পরেন রোনালদো? রোনালদোর সাত নম্বর জার্সির পিছনে রয়েছেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। তিনিই পর্তুগিজ মহানায়ককে সাত নম্বর জার্সি পরার পরামর্শ দেন। ২০০৪ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আসার পরেই রোনালদো প্রথম সাত নম্বর জার্সি পরেন। ফার্গুসনের মনে হয়েছিল, সাত নম্বর পরে খেললে রোনালদো আরও ভালো খেলবেন। ম্যান ইউতে খেলা কিংবদন্তি যে সব ফুটবলার আলো ছড়িয়েছেন, তাদের অধিকাংশেরই জার্সির নম্বর ছিল সাত। ম্যান ইউতে আসার পরও রোনালদো ২৮ নম্বর জার্সি পরে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ফার্গি তাকে তা পরতে দেননি। এর আগে এই জার্সি পরতেন ডেভিড বেকহ্যাম, জর্জ বেস্ট এবং এরিক কাঁতোয়াঁর মতো ফুটবলাররা। রিয়ালে আসার পরে রোনালদো ৯ নম্বর জার্সি পরে খেলতেন। তখন সাত নম্বর ছিল রাউলের। তিনি ক্লাব ছাড়ার পর রোনালদো ফিরে পান সাত নম্বর জার্সি। পর্তুগালের হয়ে কিছুদিন ১৭ নম্বর পরে খেলেছেন। তখন সাত নম্বর মানেই ছিলেন লুইস ফিগো। তিনি অবসর নেওয়ার পরে রোনালদো পরতে শুরু করে দেন সাত নম্বর জার্সি। বিশ্বকাপের পরেই জুভেন্টাসে যোগ দেন রোনালদো। সেখানে সাত নম্বর ছিল কুয়াদ্রাদোর দখলে। কুয়াদ্রাদো নিজেই রোনালদোকে সাত নম্বর জার্সি ছেড়ে দিয়েছেন। ২০০৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদ রোনালদো ৮০ মিলিয়ন(৯৪ মিলিয়ন/$১৩১.৬ মিলিয়ন) এর বিনিময়ে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে তাদের দলে নিয়ে আসে যার ফলে রোনালদো সেইসময় ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়ের সম্মান পান। রোনালদো এডরিনহার হয়ে তার যুব ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ন্যাশিওনালে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সেখানে তিনি ২ বছর খেলেন। ১৯৯৭ সালে রোনালদো পর্তুগীজ ক্লাব স্পোর্টিং সিপিতে আসেন। স্পোর্টিং সিপির হয়ে খেলার সময় রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হন, যিনি তাকে ২০০৩ সালে ১২.২৪ মিলিয়ন (১৫ মিলিওন) এর বিনিময়ে ইউনাইটেডে নিয়ে আসে। ২০০৪ সালে রোনালদো ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম ট্রফি, এফএ কাপ জেতেন। রোনালদো ২০০৭ ও ২০০৯ সালে বালোঁ দঅর এবং ২০১১ ও ২০১২ সালে ফিফা বালোঁ দঅর ২য় স্থান লাভ করেন। ২০০৮ ও ২০১১ সালে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু পুরস্কার লাভ করেন রোনালদো। ২০০৮ সালে রোনালদো ৪টি প্রধান পিএফএ এবং এফডব্লিউএ ট্রফির মধ্যে ৩টি জেতেন এবং ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার, ফিফপ্রো প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার, ওয়ার্ল্ড সকার প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার এবং ওনজে দঅর অ্যাওয়ার্ড জেতেন। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে রোনালদোকে এফডব্লিউএ প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। রোনালদো ২০০৯ সালে সেরা গোলের জন্য প্রথম পুস্কাস অ্যাওয়ার্ড জেতেন। সূত্র: বিডি২৪লাইভ আর/১৭:১৪/২৫ আগস্ট



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2wdZwgD
August 26, 2018 at 12:40AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top