জাতীয় দলের কোচ হিসেবে এর আগেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু খুব একটা সাফল্য নেই। এরপরেও বহুবার তিনি নিজে থেকে আর্জেন্টিনার কোচ হতে চেয়েছেন। কিন্তু ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়াগো ম্যারাডোনার ইচ্ছাকে পাত্তাই দিতে রাজী নয় আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। কোনো সাড়া দেয়নি তারা। ফুটবল ঈশ্বরের কণ্ঠে তাই শোনা গেল ক্ষোভের সুর। তিনি কি জাতীয় দলের কোচ হওয়ার অযোগ্য? সোশ্যাল সাইটে লেখা দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে ছিয়াশির বিশ্বকাপজয়ী নায়ক লিখেছেন, জাতীয় দলের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে বলছি, কিছু সাংবাদিক যে আমাকে আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য কোচের মধ্যে রাখে না, এতে আমি খুব বিরক্ত হই। শাভো ফাকসের (ক্রীড়া সাংবাদিক) কথাই ধরুন। উনি তো কখনোই আমার নাম সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রাখেন না। আমি ওনার সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারের শুরু থেকে জানি। তখনো আমি খেলেছিলাম। আর এখন তো মনে হয়, উনি আমাকে চেনেনই না! এর আগে পেকারম্যান ২০০৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সাম্প্রতিকতম সবচেয়ে ভালো ও ভারসাম্যপূর্ণ দল নিয়ে সেই জার্মানির কাছেই কোয়ার্টার ফাইনালে হেরেছিলেন। ম্যারাডোনার প্রশ্ন, পেকারম্যানকে নিয়ে ভাবতে পারলে তাকে নিয়ে কেন নয়? তিনি বলেন, আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম আরও অনেক সাবেক কোচের কথা তো বলে। কিন্তু কখনো আমার নাম নিল না। এটা আমাকে পোড়ায়। অবশ্য আর্জেন্টিনার ক্রীড়া সাংবাদিকতা সব সময়ই এমন ছিল। কিন্তু আসলেই আর্জেন্টিনা সংবাদমাধ্যম ৫৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনাকে কোচ হিসেবে চায় না। কারণ ফুটবলার ম্যারাডোনা শীর্ষবিন্দুতে অবস্থান করলেও কোচ হিসেবে তার রেকর্ড খুব বাজে। ২০১০ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে দলকে টেনেটুনে নিয়ে গেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে আর্জেন্টিনা হজম করেছে ৪ গোল। সুতরাং কোচ হিসেবে ম্যারাডোনার এই পারফর্মেন্স সন্তোষজনক মনে হয়নি দেশটির মিডিয়ার কাছে। তাছাড়া কয়েকটি ছোটখাট ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। হতে হয়েছে ছাঁটাই। তথ্যসূত্র: কালের কণ্ঠ আরএস/০৮:০০/ ১০ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2KI0qXd
August 11, 2018 at 12:37AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন