রিয়াদ, ২৯ আগস্ট- সৌদি আরবে বাংলাদেশি গৃহকর্মীরা শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হলেও সুবিচার পান না। নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে দেশটিতে কঠোর আইন আছে। কিন্তু নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মীরা মামলা করতে রাজি না হওয়ায় সুবিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন। নির্যাতন থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসে কিংবা অন্য কারও সহায়তায় দূতাবাসে আশ্রয় নেয়ার পর তাদের মামলা করতে বলা হয়। কিন্তু তারা দ্রুত দেশে ফিরতে কান্নাকাটি শুরু করেন, অনুনয়-বিনয় করেন। তারপরও এ পর্যন্ত অর্ধ শতাধিক সৌদি নাগরিকের বিরুদ্দে মামলা হয়েছে। বেশ কয়েকজনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজাও হয়েছে। সম্প্রতি প্রতিবেদকের সঙ্গে হজ মিশন কার্যালয়ে আলাপকালে এসব কথা বলেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসি। তিনি বলেন, সৌদি সরকারের আইন খুবই কঠিন। অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের জেল ও আর্থিক জরিমানার বিধান রয়েছে। ধর্ষণের ফলে অনেক গৃহকর্মী গর্ভবতী হয়ে পড়ছেন, তাদের ব্যাপারে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয় না- এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম মসি বলেন, গৃহকর্মী গর্ভবতী হয়ে পড়লে পিতৃত্ব খুঁজে পেতে ডিএনএ টেস্ট বাধ্যতামূলক। এ ধরনের মামলা হলে সন্তান ভূমিষ্ঠ না হওয়া পর্যন্ত সব ভরন-পোষণ বহন করে সৌদি সরকার। কিন্তু বাংলাদেশের গৃহকর্মীরা মামলা ও ডিএনএ সেস্ট করতে রাজি হন না। রাষ্ট্রদূত বলেন, গৃহকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হন না এমন কথা বলবো না, তবে যেভাবে গণমাথ্যমে বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। এ ধরনের বিরূপ প্রতিবেদনের ফলে সৌদি সরকার গৃহকর্মীর ভিসাই হয়তো বন্ধ করতে পারে। রাষ্ট্রদূত জানান, সৌদি আরবে দুই লাখেরও বেশি বাংলাদেশি গৃহকর্মী কর্মী রয়েছেন। শারীরিক ও যৌন নির্যাতনসহ নানা কারণে সাত হাজারেরও বেশি গৃহকর্মী দেশে ফিরেছেন। গৃহকর্মীদের অনেকেই ভালো আছেন। মাসে সর্বনিম্ন ১৬ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতন পান, উল্লেখ করেন তিনি। তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ২৪ আরএস/ ২৯ আগস্ট
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2NuS9bt
August 29, 2018 at 10:12PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন