ফ্লোরিডা, ০৫ আগস্ট- ফ্লোরিডার লডারহিলের সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড রিজিওনাল পার্ক স্টেডিয়ামটি রান প্রসবীনি। ২৪৫ রান পর্যন্ত এখানে স্কোর উঠেছিল। সেই মাঠে টস হেসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের রান উঠলো ১৭১। অসাধারণ ব্যাটিং করলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং ওপেনার তামিম ইকবাল। তামিম করেন সর্বোচ্চ ৭৪ এবং সাকিব করেন ৬০ রান। জিততে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ১৭২ রান। মার্কিন মুলুকে প্রথমবারেরমত টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে টস হেরেছেন বাংলাদেশ টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান উইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। আমন্ত্রিত হয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়তে হলো বাংলাদেশকে। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে মহা বিপর্যয়ে পড়ে যায় টাইগাররা। যদিও চতুর্থ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সেরা দুই ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল মিলে সেই বিপর্যয় কাটিয়ে দেন। এর আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই দলীয় ৭ রানের মাথায় উইকেট হারান ওপেনার লিটন দাস। ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নামেন মুশফিকুর রহীম। কিন্তু স্পিনার অ্যাশলে নার্সের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। আউট হয়ে যান ৪ রান করে। চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সৌম্য সরকার। ১৮ বল মোকাবেলা করে তিনি করেন মাত্র ১৪ রান। কিমো পলের বলে রোভম্যান পাওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফিরে যান। ৪৮ রানে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে যখন বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ, তখন টাইগারদের ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল টানতে থাকেন। শুধু তাই নয়, দলকে নিয়ে ক্যারিবীয়দের সামনে দারুণ এক চ্যালেঞ্জিং পর্যায়ে। তারই ধারাবাহিকতায় ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম ইকবাল। ৩৫ বলে পূরণ করা তার এই হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বাংলাদেশও এগিয়ে যেতে থাকে। তবে, ইনিংসের ১৬তম ওভারে আন্দ্রে রাসেলের ওপর চড়াও হন তামিম ইকবাল। রাসেলকে ৩টি ছক্কা এবং ১টি বাউন্ডারি মারেন তিনি। একাই নেন ২২ রান। ওভারের শেষ বলে ৪র্থ ছক্কা মারতে গিয়ে একেবারে বাউন্ডারি লাইনে কিমো পলের হাতে ধরা পড়েন তামিম। আউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৭৪ রানের জ্বলজ্বলে এক ইনিংস উপহার দিয়ে যান তিনি। যে ইনিংসটি সাজানো থাকলো ৪টি ছক্কা এবং ৬টি বাউন্ডারির সমারোহে। তামিম আউট হয়ে যাওয়ার পর দলের ইনিংসকে টেনে নেয়ার দায়িত্ব পালন করেন সাকিব আল হাসান। ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে পরিবর্তিত ফিল্ডার চাডউইক ওয়ালটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান কিমো পলের বলে। আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৯ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় তিনি করেন ৬০ রান। ১৩ রানে মাহমুদউল্লাহ এবং আরিফুল হক অপরাজিত থাকেন ১ রানে। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয় বোলার অ্যাশলে নার্স এবং কিমো পল নেন ২টি করে উইকেট। ১ উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/০৭:১৪/০৫ আগস্ট



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2M0aNKG
August 05, 2018 at 02:51PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top